“মানুষ, প্রকৃতি ও যন্ত্রের মেলবন্ধন” স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শফিউল ইসলাম কামাল
বাংলাদেশের একসময়কার সবচেয়ে বৃহত ব্যবসা উদ্যোগ ছিল ইসলাম গ্রুপ । ১৯৬৪ সাল থেকে জনাব জহুরুল ইসলাম এর দক্ষ হাতে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান অর্জন করেছে বিশাল সম্পদ ও সম্মান। জহুরুল ইসলাম ও ইসলাম গ্রুপ ছিল একে অন্যের সম্পূরক ।এই মহান চেয়ারম্যানের ইন্তেকালের পর ইসলাম গ্রুপ পেলো এক নতুন পরিচয় এবং একজন নতুন চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কামাল। নতুন পরিচয় নিয়ে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তার যাত্রা শুরু করল ‘নাভানা গ্রুপ’ নামে এবং এর স্লোগান নির্বাচিত হল, মানুষ, প্রকৃতি ও যন্ত্রের মেলবন্ধন”।
নাভানা গ্রুপ নতুন হলেও অতীতের অভিজ্ঞতা ও আধুনিক চিন্তাধারার সমন্বয়ের ফলে সেবার মান অতি সন্তোষজনক বলে প্রমাণিত হলো। একাধিক উদ্যোগ তাদের দায়িত্বে আছে। তার মধ্যে আছে নাভানা লিমিটেড, নাভানা ব্যাটারিস লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, নাভানা কন্সট্রাকশন লিমিটেড, নাভানা টেক্সটাইল লিমিটেড, নাভানা ইন্টারলিঙ্ক লিমিটেড, বিপণন লিমিটেড, নাভানা ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, নাভানা কম্পিউটার অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, নাভানা সফটওয়্যার লিমিটেড, নাভানা ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, নাভানা ট্যাক্সিক্যাব কোম্পানি লিমিটেড, নাভানা সিএনজি লিমিটেড, নাভানা রিনিউএবল এনার্জি লিমিটেড, নাভানা লজিস্টিক্স লিমিটেড, নাভানা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, নাভানা ফার্ণিচার লিমিটেড ইত্যাদি।
এর মধ্যে নাভানা লিমিটেড হলো নাভানা গ্রুপ এর সূচনা প্রতিষ্ঠান যা যানবাহনের ছোট পার্টস্ বদলানো ও সমন্বয়কে কেন্দ্র করে চালু করা হয়েছিল। ১৯৮২ হতে টয়োটা ও হিনো কোম্পানির যানবাহন জোড়া লাগানোর কাজ করছে এই নির্ভরযোগ্য কোম্পানি।
নাভানা গ্রুপ যে শুধু লাভ-লোকসান নিয়েই ব্যস্ত ছিল তা একদমই নয় বরং নাভানা গ্রুপ এবং তার পরিচালগণ সবসময় চেষ্টা করেছেন দেশ, সমাজ ও পরিবেশের যেন কোন ক্ষতি না হয়। তাই তারা নির্বিঘ্নে এগুতে পেড়েছেন।
অতএব বলা যায় যে, নাভানা গ্রুপ একটি উন্নত, আধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে এই সাফল্যের পেছনে যার সবচেয়ে বেশি অবদান, তার সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যক।
শফিউল ইসলাম কামাল ১৯৪৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে ১৯৬৮ সালে ইসলাম গ্রুপে যোগ দেন। যুগের প্রবর্তনে শফিউল সাহেব কোম্পানির প্রসারে অবদান রাখেন । দক্ষ পরিচালনার পাশাপাশি তিনি সবার সাথে অতিসুন্দর ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি একক ভাবে প্রতিষ্ঠানের অনেক সমস্যা সামাল দিয়েছেন ।
যেই বৈশিষ্ট্যটি নাভানা গ্রুপকে অন্য কোম্পানিগুলো থেকে আলাদা করে, তা হলো এর ভিন্নধর্মী চিন্তাধারা । এই অভিনব নাভানা কোম্পানি বিদেশি কোম্পানি দেশে এনে সম্মিলিত করে বিক্রয় করার অভিনব প্রক্রিয়া বাংলাদেশে প্রথম শুরু করে । তাছাড়া এক পুরোনো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে নতুন নাম দিয়ে তার মান ও জনপ্রিয়তা কিভাবে বজায় রাখতে হয়, তার অনন্য দৃষ্টান্ত এই গ্রুপ । আজ বিনা দ্বিধায় বলা যায় যে, নাভানা গ্রুপ শুধু ইসলাম গ্রুপের খ্যাতি ধরেই রাখেনি বরং আধুনিক উদ্ভাবনা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও সু-দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে হয়ে উঠেছে আরো উন্নত, বিখ্যাত ও প্রভাবশালী। নাভানা গ্রুপ কতখানি বিখ্যাত ও উন্নত হতে পেড়েছে, তা মাপা মুশকিল । তবে এটুকু অবশ্যই নিশ্চিত করে বলা যায় যে, নাভানা গ্রুপের আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে এবং এভাবে অগ্রসর হতে থাকলে, নাভানা উন্নতির চরম শিখরে পৌছতে পারবে ।