শিরোনাম

South east bank ad

কেডিএস চেয়ারম্যান জীবন্ত কিংবদন্তি

 প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০১৮, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সাক্ষাতকার

কেডিএস চেয়ারম্যান জীবন্ত কিংবদন্তি
  বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ। এর প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। এগুলো তুলে এনে অর্থনীতিতে মনি-মুক্তার মত মালা তৈরীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ কারিগর প্রয়োজন। যাদের মেধা গতিশীল নেতৃত্ব স্ব-স্ব ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে তেমনি একজন রূপকার কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান এবং তার প্রতিষ্ঠিত কেডিএস গ্রুপ। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার। দেশের আমদানী-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়। জাতীয় রপ্তানিতে চট্টগ্রামের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। যাদের হাত ধরে চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে-তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় হলেন-কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ মো: খলিলুর রহমান। প্রতিষ্ঠানের নামের পরিচিতি রয়েছে ভিন্নভাবে। প্রতিষ্ঠানের নাম- কে ডি এস। ‘কে’ বর্ণে বুঝায় খলিল, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের নাম। ‘ডি’ বর্ণে দেলোয়ারা, চেয়ারম্যানের প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম এবং ‘এস’ বর্ণে বুঝায় সেলিম। প্রাণপ্রিয় বড়ছেলের নাম। ১৯৪৫ সালের ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার সাঁইদাইর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশুনা শেষে তিনি ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হন। আমদানী-রপ্তানির সাথে সম্পৃক্ততার কারণে ব্যবসার জটিল বিষয়গুলো আয়ত্বে এনে প্রতিষ্ঠা করেন কেডিএস গার্মেন্টস্। তার এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পেছনে যার অনুপ্রেরণা কাজ করেছে তিনি ছিলেন তাঁরই সহধর্মিনী আলহাজ দেলোয়ারা বেগম। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তার অবদানকে স্মরণীয় করে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানের নামের মধ্যেই। কেডিএস মানে খলিল, দেলোয়ারা,সেলিম । প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে নিজ নাম, স্ত্রী ও সন্তানদের জড়িয়ে রেখেছেন এ শিল্পপতি। সদালাপী এ মানুষটির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে ৪৫ হাজার সদস্যের অন্নসংস্থান হয় কেডিএস গ্রুপের মাধ্যমে। কেডিএস গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার পর তিনি যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করেছিলেন তা হলো মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মনে করেন কেডিএস পরিবারের সদস্য হিসেবে। তাঁর এ নীতির ফলে কেডিএস গার্মেন্ট এ অদ্যাবধি শ্রম অসন্তোষ হয় নি। যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে চেয়ারম্যান নিজে সবসময় তৎপর থাকেন। কেডিএস গার্মেন্ট দিয়ে ব্যবসায়িক ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া এ শিল্পপতি বর্তমানে ৩২টি বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ১। কেডিএস গার্মেন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২। ফাইভ স্টার কর্পোরেশন। ৩। সাঁইদাইর গার্মেন্টস্। ৪। এইচ এন গার্মেন্টস লিমিটেড। ৫। মুন এপারেল্স। ৬। কেএনএস এন্টারপ্রাইজ। ৭। কেডিএস এপারেল্স। ৮। কেডিএস কুইলটিং। ৯। স্টার এপারেল্স। ১০। মডার্ন এপারেল্স। ১১। কেডিএস হাইটেক গার্মেন্টস (বিডি) লিমিটেড। ১২। কেডিএস কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেন্টার লিমিটেড। ১৩। কেডিএস ওয়াশিং প্লান্ট। ১৪। কেডিএস টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। ১৫। কেডিএস স্ক্রিন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৬। কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড। ১৭। কেডিএস পলি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৮। কেডিএস প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৯। কেডিএস প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০। কেডিএস প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২১। কেডিএস লেবেল প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২২। কেডিএস কটন পলি থ্রেড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২৩। কে আই ওয়াই স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২৪। কে ওয়াই স্টীল মিল্স লিমিটেড। ২৫। কে ওয়াই সি আর কয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২৬। স্টীল এক্সেসরিজ লিমিটেড। ২৭। মেসার্স এ এইচ সিন্ডিকেট। ২৮। মেসার্স সেলিম এন্ড কোং। ২৯। কেডিএস ইনফরমেশন টেকনোলজিস লিমিটেড। ৩০। কেডিএস আইডি আর। ৩১। ফসিল সিএনজি। ৩২। পটিয়া সিএনজি। উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে ৪৫০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মরত। প্রতিমাসে বেতন খাতে ২২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ ব্যবস্থাপনায় আরো প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের আন্তরিকতা ও পরিশ্রম এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের উদ্দীপনা প্রতিষ্ঠানটির প্রাণস্পন্দন হিসেবে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শিল্প মালিকদের প্রতিষ্ঠিত চিটাগং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। চট্টগ্রামের শিল্পক্ষেত্রে যাদের জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক অবদান রয়েছে তাদের অনেকেই এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। বর্তমান নবগঠিত কমিটিতেও তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফেকচারার এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের তিনি চেয়ারম্যান। প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৪ বছর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের তিনি ২ বার ১ম সহ-সভাপতি ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। জনাব খলিল বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড, প্রগতি ইন্সুরেন্স লিমিটেড এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালক এবং নদার্ন জেনারেল ইন্সুরেন্স, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর স্পন্সর শেয়ার হোল্ডার। এ শিল্পপতি ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একাধিকক্রমে প্রেসিডেন্ট গোল্ড ট্রফি (১৯৮৫, ১৯৮৭, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১ এবং ২০০২), কোয়ালিটি গার্মেন্টস এক্সপোর্টার হিসেবে গোল্ডমেডেল/ক্রেস্ট এএমসি টার্গেট ইউএসএ কর্তৃক (১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১ এবং ২০০২) লাভ করেন। তৈরী পোশাক রপ্তানীখাতে কোয়ালিটির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য স্পেনের মাদ্রিদে ১৯৯২ সালে গোল্ডেন ট্রফি ফর কোয়ালিটি অর্জন করেন। কেডিএস গ্রুপের পক্ষে ১৯৮৭-৮৮, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯০-৯১, ১৯৯১-৯২, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৯-২০০০, ২০০৩-২০০৪, ২০০৫-২০০৬, ২০০৬-২০০৭, ২০০৭-২০০৮ এবং ২০০৮-২০০৯ সালে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেন। কে মার্ট কর্পোরেশন এওয়ার্ড, কোয়ালিটির জন্য আন্তর্জাতিক গোল্ড স্টার এওয়ার্ড, দক্ষতার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন ইউএসএ (টেক্সাস) বিজিনেস ইনিশিয়েটিভ ডিরেক্শন থেকেও । টার্গেট কর্পোরেশন কর্তৃক ইউএসএ স্ট্রাটেজিক পার্টনার এওয়ার্ড, আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স ২০০০, স্পেনের ট্রেড লিডার ক্লাব কর্তৃক ৫ বার পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান। টার্গেট কর্পোরেশন এওয়ার্ড, চার্মিং শপ্স ইন্স এওয়ার্ড ২০০৪, ভেন্ডর এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০০০ এবং হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট সরবরাহের জন্য টার্গেট কর্পোরেশন এওয়ার্ড ২০০৫ অর্জন করেন এ শিল্পপতি ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাইয়ার অব দি ইয়ার হিসেবে ২০০৪, ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে ওয়ালমার্ট কানাডা এবং ওয়ালমার্ট জর্জ কর্তৃক এ শিল্পপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। প্রতিষ্ঠান কেডিএস মর্যাদার শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাটেক্সপো এওয়ার্ড ১৯৯৯, ২০০০, চাপেক্সপো- এওয়ার্ড ২০০৯ অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটি হোটেল আগ্রাবাদ কর্তৃক ১৯৯৮ সালে টপ ক্লায়েন্ট ট্রফি, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক বেষ্ট উইসেস ট্রফি-২০০০, মার্কেন্টাইল ব্যাংক কর্তৃক বিজিনেস এওয়ার্ড ট্রফি ২০১১, জনতা ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক কর্তৃক ও তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান বিজিনেস এওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়াও লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশাল এওয়ার্ড, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কর্তৃক কেডিএস গ্র“প সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক পারফরমেন্স এওয়ার্ড, ২০০৯ সালে ‘বিজয় শ্রী’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সংস্থা থেকে পুরস্কার পান। ইউনেস্কো একাডেমিক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কর্তৃক গোল্ডেন এওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশ ইনফরমেশন এন্ড হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১৪ সালে মাদার তেরেসা হিউম্যান রাইট গোল্ড এওয়ার্ড পুরস্কারও অর্জন করেন এ শিল্প পথিকৃত। ব্যবসা ও শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাকে ২০১৫ সালে ‘একুশে পদক’ প্রদান করে সম্মানিত করে। এ শিল্পপতি শিল্পের প্রসারে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিনরাত পরিশ্রম করেন। তিনি একজন আদর্শ শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসা ও শিল্প থেকে অর্জিত অর্থ শিক্ষা ও সামাজিক খাতে উদার হাতে ব্যয় করেন। তিনি সাউদার্ন ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ, খলিল- মীর ডিগ্রী কলেজ, খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ, খলিলুর রহমান গার্লস হাই স্কুল, জিরি খলিল-মীর খলিলুর রহমান কালচারাল একাডেমি, সাঁইদাইর গাউসিয়া তৈয়বিয়া দেলোয়ারা বেগম হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, সাঁইদাইর আলহাজ্ব আবুল খায়ের সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, খলিল-মীর গার্লস হাই স্কুল, সাবেরিয়া খলিলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা এবং কর্তালা বেলখাইন মহাবোধি হাইস্কুলের তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও এম এ নূর হাইস্কুল, হুলাইন সালেহ- নূর কলেজ এবং মফিজুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রামসহ বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলেও নিজ এলাকাকে ভুলে যান নি। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পটিয়া সমিতি (চট্টগ্রাম শহর) নামে একটি সমাজকল্যাণ সংগঠন তাঁরই অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। এলাকায় অস্বচ্ছল পরিবার ও কন্যাদায়গ্রস্ত এতিম-দুঃস্থ, দরিদ্র মেধাবীরা এ সংগঠন থেকে অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকে। তিনি নিজে শিল্পপতি হয়ে শুধু বসে থাকেন নি। তার আত্মীয় স্বজনকেও শিল্প প্রতিষ্ঠান করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এলাকার মানুষের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। দেশে-বিদেশে এক নামে পরিচিত এ শিল্পপতি চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড, ভাটিয়ারি গল্ফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব, চিটাগাং বোট ক্লাব লিমিটেড, চিটাগাং মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চিটাগাং ইনষ্টিটিডট লিমিটেড (সিনিয়রস ক্লাব), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে এবং জিরি জনকল্যাণ সমিতির তিনি আজীবন সদস্য। ব্যবসা, শিল্প, শিক্ষা, সমাজসেবা, প্রশাসনের সকল পর্যায়ে এ শিল্পপতি সমভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একজন শিল্পপতি হিসেবে তিনি সবসময় ভাবেন কিভাবে দেশকে শিল্পে অগ্রসরমান করে বিশ্বের সাথে মর্যাদার সাথে ব্যবসা বাণিজ্যে টিকে থাকা যায়। শিল্পে বিনিয়োগে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অবকাঠামো খাতে সরকারী সহায়তা এবং স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বেশি প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো, যানজটমুক্ত রাস্তা-ঘাট, কন্টেইনারজটবিহীন বন্দর ব্যবহার সুবিধা পাওয়া গেলে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নেয়া সম্ভব বলে এ শিল্পপতি মনে করেন। বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, এল এন জি আমদানী করে গ্যাস সংকট থেকে উত্তরণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে চলতে দিতে হবে। বিদেশীরা বিনিয়োগের গ্যারান্টি চায় উলে¬খ করে তিনি বলেন-এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে একটি ঐকমত্য তৈরী করা গেলে বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮টি প্রাইভেট কন্টেইনার ইয়ার্ড দেশে রয়েছে। আমদানী এবং এমটি কার্যক্রম এ কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলোকে দেয়া হলে বন্দরে কোন কন্টেইনার জট থাকবে না। প্রাইভেট বার্থ অপারেটর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতেই ব্যবসা থাকা উচিত। বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও ইমপোর্ট বেসরকারী কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলোকে দিলে বন্দর যানজটমুক্ত হবে। বর্তমানে দৈনিক ৫ হাজার যানবাহন বন্দরের ভিতরে এবং ৫ হাজার বন্দরের বাইরে অবস্থান করে যানজট লাগিয়ে রাখে। যানজট কন্টেইনার জটের কারণে বন্দরের ভেতরে কন্টেইনার রাখার জায়গা না থাকায় বহিঃনোঙ্গরে বিদেশী জাহাজ আসতে চায় না। বহি:নোঙ্গরে জাহাজ বসে থাকলে আর্ন্তজাতিক মুদ্রার ক্ষতিপূরণ গুণতে হয় । ফলে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। আমাদের বন্দরের সক্ষমতা আছে। ঠিকমত হ্যান্ডলিং করলে বর্তমানে যে কন্টেইনার আছে তার তিনগুণ বেশী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। নিশ্চয়ই সরকার দেশের কথা ভেবে এ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য সব সময় ভাবেন এ বিষয়গুলো তিনি নিশ্চয়ই ভাববেন। পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলেই দেশ সকল সূচকে এগিয়ে যাবে বলে এ শিল্পপতি মনে করেন। শিল্পে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে উদ্যোক্তাদেরকে স্পেস দিতে হবে বলে উলে¬খ করেন তিনি। মৌসমী ব্যবসায়ী বা শিল্প উদ্যোক্তা শিল্পক্ষেত্রে কোন অবদান রাখতে সক্ষম নয়। সরকারকে এ বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। একজন সফল শিল্পপতি তার কর্মনিষ্ঠা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে নিজকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে । তাঁকে অনুসরণ করে সত্যিকার শিল্পদ্যোক্তারা শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
BBS cable ad

সাক্ষাতকার এর আরও খবর: