জীবদ্দশায় প্রথম শিল্পপতি হিসেবে একুশে পদক পাওয়া সুফি মিজান মানুষের কল্যাণে সবসময় তৎপর
কেউ ডাকেন সুফি সাহেব, কেউ বা মিজান সাহেব। পুরো নাম সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ‘পিএইচপি ফ্যামিলি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। ব্যবসার জগতে সফল এক কিংবদন্তি। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একুশে পদক গ্রহণ করেছেন দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বাংলাদেশে দ্বিতীয় শিল্পপতি হিসেবে এবং জীবদ্দশায় প্রথম শিল্পপতি হিসেবে যিনি ভূষিত হয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননার একটি পুরস্কার একুশে পদকে। এছাড়াও বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার, প্রাইড অব চিটাগং, করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড, সেন্ট মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া সরকার তাকে দেশটির অনারারি কনসাল হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত করেছেন।
নিজের মেধা, প্রচেষ্টা ও একাগ্রতার মাধ্যমে যিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি সুফী মিজানুর রহমান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ যে সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন জনাব সুফী মিজানুর রহমান তাদের অন্যতম। সুফী মিজানুর রহমান একজন দুরদর্শী, নিরলস, পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা এবং অধ্যবসায়ী সফল শিল্পোদ্যোক্তার প্রতিকৃতি। দেশের বেসরকারি খাতের শিল্পসাম্রাজ্য পিএইচপি গ্রুপের কর্ণধার তিনি।
পিএইচপি। পি-তে পিস, এইচ-হ্যাপিন্যাস এবং পি-তে প্রসপারিটি। যার বাংলা অর্থ শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল কর্মজীবন। এখন ১০ হাজার মানুষ কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানে। আর পিএইচপি গ্রুপ দেশে বিনিয়োগ করছে ২৩টিরও বেশি খাতে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোল্ড, স্টিল, ফিশারিজ, স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং মিলস, শিপিং এজেন্সী, ফ্লাট প্লাস, লেটেক্স অ্যান্ড রাবার প্রোডাক্টশন, টার্মিনাল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, প্রপার্টিজ, রোটারি ক্লাব, পেট্রো রিফাইনারি, এগ্রো প্রডাক্ট, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স, কোল্ড স্টোরেজ, শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং, ওভারসিজ, হাসপাতাল, এয়ারলাইন্স ও ইলেক্ট্রিক খাত।
পিএইচপি গ্রুপ নয়, ফ্যামিলি
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গর্ব করে বলেন, অন্যসব বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো পিএইচপি কোনো গ্রুপ নয়, ফ্যামিলি। ফ্যামিলির মতোই এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু আমরা হরতাল কাকে বলে, স্ট্রাইক কাকে বলে কখনো বুঝিনি। এখানকার সবাই আপন মনে হাসিমুখে কাজ করতে পারে। সুইপার, পিয়ন কিংবা প্রেসিডেন্ট সবাই এখানে এক। বিভিন্ন ধরনের স্টিল, গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, শিপ রিসাইক্লিং, টেক্সটাইল, পেট্রলিয়াম প্রোডাক্টস, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষিজাত পণ্য, লেদার, ফিশারিজ, রিয়েল এস্টেটসহ বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা রয়েছে সুফি মিজানুর রহমানের। পিএইচপি ফ্যামিলির আওতায় দেশে-বিদেশে অন্তত ৩০টি আলাদা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই বিশিষ্ট শিল্পপতির।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়া অবস্থায়ই ১৯৬৪ সালে চাকুরি নেন নারায়ণগঞ্জের জালাল জুট ভ্যালি কোম্পানিতে। শুরুতে বেতন ছিল ১০০ টাকা। পরের বছর বিকম পড়া অবস্থায়ই চাকুরি নেন সেসময়ের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (সোনালী ব্যাংক) এ। দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রামের লালদিঘী শাখায় জুনিয়র ক্লার্কে। বেতন ছিল ১৬৭ টাকা। ১৯৬৭ সালে যোগদান করেন সেসময়কার ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (পূবালী ব্যাংক) চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায়। পদবি ছিল জুনিয়র অফিসার। বেতন পেতেন ৮০০ টাকা। সাত বছর ব্যাংকের সফল জীবন শেষ করে ১৯৭২ সালে প্রবেশ করেন ব্যবসায়। চাকুরি জীবনের শুরুতে ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় কাজ করতেন। নিজের ব্যাংকের ক্ষতি না করে একজন আমদানি রপ্তানিকারক যাতে সর্বোচ্চ সুবিধা পান সেই চেষ্টাই করতেন। বিনিময়ে কখনো সুবিধা নেননি। চাকুরি ছেড়ে যখন ব্যবসা শুরু করলেন তখন ওইসব আমদানি রপ্তানিকারকরাই তাকে বাকিতে পণ্য দিয়ে সহায়তা করতে লাগলেন। ব্যাংকের টাকা সময়মত পরিশোধ করতেন। সে কারনে তার প্রতি ছিল বিভিন্ন ব্যাংকের গভীর আস্থা। এভাবে সুফি মিজানুর রহমানের যাত্রা ও এগিয়ে চলা শুরু।
চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, গম ট্রাকে করে ঢাকার পাইকারী বাজার ও মৌলভীবাজারে নিজে নিয়ে বিক্রি করতেন। এভাবে সুফী মিজানুর রহমানের ব্যবসা আস্থার সঙ্গে চলতে লাগল। বেশ লাভবান হচ্ছিলেন। ১৯৭২ সালে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ব্রিজষ্টোন ট্রায়ার আমদানি করেছিলেন জাপান থেকে। বিনিয়োগ ছিল ৪ হাজার ডলার। সে সময় প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ১১ টাকা। অর্থাৎ ৪৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে লাভ করেছিলেন এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালে সীতাকুন্ডের বঙ্গোপসাগর উপকূলে শিপইয়ার্ড দিলেন। ‘ওশান এসি’ নামে একটি পুরনো জাহাজ ক্রয় করে কেটে বিক্রি করে লাভ পেলেন ২ কোটি টাকা। এরপর দিলেন রি-রোলিং মিল। ১৯৮৪ সালে মংলা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়ার্কস নামে দেশের প্রথম বিলেট তৈরীর কারখানা দিলেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় ঢেউটিনের কারখানা স্থাপন করেন। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামের কুমিরায় স্থাপন করেন সিআর কয়েল কারখানা। ১৯৯৭ সালের ২২ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন আজকের পিএইচপি গ্রুপ।
আজ থেকে ২৫ বছর আগে ঢাকার কাঞ্চননগর গ্রামে ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন সুফী মিজানুর রহমান। মাত্র ৫ টাকায় সেখানে রোগীদের দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম শহরের আসকারদীঘি পাড়ে মাউট হাসপাতালসহ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ‘ইউআইটিএস’ গড়ে তুলেছেন।
সুফী মিজানুর রহমান হিন্দি, উর্দু, ফার্সি, আরবি, ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন। সমাজ সেবায় রেখে চলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য তিনি পৃথিবীর বহুদেশে সেমিনার ও মিটিং করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাত ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। বড় ছেলে মো. মহসিন বাবার মতোই দেশসেরা একজন শিল্পোদ্যোক্তা। তার অন্য সন্তানরা হলো- ইকবাল হোসেন, আনোয়ারুল হক, আলী হোসেন, আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আক্তার পারভেজ হীরু ও ফাতেমা তুজ-জোহরা। সহধর্মিনি তাহমিনা রহমান। ব্যক্তিগত জীবনে সুফী মিজানুর রহমান একজন অমায়িক মানুষ। তিনি অনেক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পিএইচপি কোরানের আলো একটি সাড়া জাগানো প্রোগ্রাম। এছাড়াও জর্ডান, ইরান, মিশর, তুরস্ক, মরক্কো, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্বারিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন আয়োজন করেন পিএইচপি ফ্যামিলি ও সম্মেলন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
করোনায় অসহায়দের পাশে পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান
বাংলাদেশে মার্চে শনাক্ত হয় করোনা রোগী গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এ ত্রাণ বিতরণ। প্রায় ১০ হাজারের অধিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় এ ত্রাণ। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্য তেল ও আলু। পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান এ দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। একুশে পদকের সঙ্গে প্রাপ্ত অর্থ ইতোমধ্যে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালকের হাতে হস্তান্তর করছেন। এছাড়াও চমেক হাসপাতালের ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয়েছে ৫০০ পিপিই।
স্বপ্ন
বাংলাদেশ নিয়ে, নিজের পিএইচপি ফ্যামিলি নিয়ে এখনো অনেক স্বপ্ন দেখেন এই স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশের কোনো মা-বোন যেন ক্ষুধার তাড়নায় কষ্ট না পায়। প্রতিটি কোমলমতি সন্তান যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়। যেন চিকিৎসার অভাবে কোনো মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ না করে। প্রতিটি মানুষের যেন থাকার মতো একটি ছোট্ট কুটির আর চলার মতো একটি ছোট্ট ট্রান্সপোর্ট থাকে।’ পিএইচপি ফ্যামিলি নিয়েও একই স্বপ্ন দেখেন তিনি। এই ফ্যামিলির প্রতিটি মানুষ যেন থাকার মতো একটি ছোট্ট বাড়ি ও চলার মতো একটি নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট পায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা ক্ষেত্রে সফল, তার পরও কিছু আকুতি থেকে গেছে। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেকটা অবদান রাখতে পেরেছি। বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা আমাদের আগে আর কেউ নিতে পারেনি। কিন্তু এখনো কিছু স্বপ্ন পূরণ বাকি আছে। যার একটি হলো, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেসিক স্টিল মিলস মেকার হিসেবে দেখতে চাই।’
পিএইচপি হবে বাংলার টাটা
‘আমি বেঁচে থাকি আর না থাকি ২০২০ সালে পিএইচপি গ্রুপ হবে বাংলার টাটা। ভারতীয় টাটা হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লৌহজাত সামগ্রীর শিল্প-প্রতিষ্ঠান। পিএইচপি বাংলাদেশে তেমনি খনির আকরিক লোহা থেকে একদম শেষ পণ্য বানানোর কারখানা গড়বে।’ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন সুফী মিজান।
পিএইচপি প্রোটন কার
পিএইচপি পরিবার ক্রেতাদের জন্য কম মূল্যে নতুন মোটর গাড়ি তৈরি করছে। বিশ্বখ্যাত মালয়েশিয়ার প্রোটন কারের বিভিন্ন ব্রান্ড পিএইচপি ফ্যামিলি এদেশে তৈরি ও বাজারজাত করছে। ক্রেতাদের জন্য নতুন গাড়ি বিভিন্ন শো-রুমে পাঠানো হয়। পুরোনো ও রিকন্ডিশন গাড়ির পরিবর্তে দেশে তৈরি প্রোটন গাড়ি ব্যবহার বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে
পিএইচপি ফ্যামিলি দেশে গাড়ি তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করছে। প্রোটনসহ সব ব্রান্ডের গাড়ির রিপেয়ারিং, মেনটেইনেন্স অ্যান্ড সার্ভিসিংয়ের জন্য চট্টগ্রামে সর্বাধুনিক মোটর ওয়ার্কশপের মাধ্যমে পিএইচপি মোটরস যাত্রা শুরু করেছে। চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকায় আরও ২টি এবং সিলেটে ১টি গাড়ির অত্যাধুনিক ওয়ার্কশপ তৈরি করা হবে, যাতে ক্রেতারা সহজে তাদের গাড়ির সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা পুরস্কার পেলেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান ‘সেন্ট মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ লাভ করেছেন। ভারতের ‘মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড কমিটি’কোলকাতার ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার-ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে বর্নাঢ্য এক অনুষ্ঠানে সুফি মিজানুর রহমানের হাতে এ পদক তুলে দেয়। বাংলাদেশে সমাজসেবায় অসামান্য স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ সম্মান প্রদান করা হয়। পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান এ এওয়ার্ড গ্রহণ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জাষ্টিস শ্যামল সেন, কমিটির চেয়ারম্যান এন্থনী অরুন বিশ্বাস ও পিএইচপি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন সোহেলও উপস্থিত ছিলেন।
সুফী মিজানের অন্য জীবন
ব্যাক্তি জীবনে তিনি সাত ছেলে এক মেয়ের পিতা।বড় ছেলে মো. মোহসিন পিতার মতোই দেশসেরা একজন শিল্পোদ্যোক্তা। তার অন্য ভাইবোনেরা হলেন ইকবাল হোসেন, আনোয়ারুল হক, আলী হোসেন, আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আক্তার পারভেজ হিরু ও ফাতেমা তুজ-জোহররা। তাদের মা তাহমিনা রহমান।
বর্ষীয়ান এ ব্যবসায়ী মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফার্সি, আরবি, ইংরেজিসহ ছয়টি ভাষায় কথা বলতে পারেন।সমাজসেবাতেও রেখেছেন অবদান। ঢাকার কাঞ্চননগর গ্রামে ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন আজ থেকে ২৫ বছর আগে। মাত্র পাঁচ টাকায় সেখানে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের আসকারদীঘি পাড়ে মাউন্ট হাসপাতালসহ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ‘ইউআইটিএস’ গড়ে তুলেছেন তিনি।