দেশ ও জাতির কল্যানে আমিন জুয়েলার্স
কাজী সিরাজুল ইসলাম আমিন জুয়েলার্স লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা। এর পিছনে রয়েছে কঠিন শ্রম, সততা, আর প্রতিভা। তিনি প্রথম শিরগ্রাম হাই স্কুল এবং ফরিদপুর হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬২ সালে কাজী সিরাজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। তৎকালীন একটি ব্যাংকের শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আমিন জুয়েলার্স নামে নিজেই একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে বহ বেকার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
করোনা মহামারীর এই সংকটকালে দুস্থদের পাশে দাড়িয়েছে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আমিন জুয়েলার্সের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কাজী সিরাজুল ইসলাম।তিনি তার এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন। কাজী সিরাজুল ইসলামের দারিদ্র সহায়তা প্রকল্পে তার সঙ্গী হয়েছেন তার ছেলে কাজী আমিনুল ইসলাম; যিনি আমিন জুয়েলার্স লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। ইতোপুর্বে তারা আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলায় এ ধরনের সহায়তা করেছেন। এবার মধুখালী উপজেলার দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে যারা অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে সেই সব পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। যাতে করে কোন ব্যক্তি না খেয়ে থাকতে না হয়। যতদিন পর্যন্ত হতদরিদ্র মানুষগুলো আয় রোজগারে যেতে পারবেন না ততদিন পর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কাজী সিরাজুল ইসলাম এবং কাজী আমিনুল ইসলামের নিজ তহবিল থেকে ত্রান সামগ্রী ও ব্যাক্তিগত সাহায্য অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস মহামারি। আতঙ্কিত বিশ্ববাসী। বাংলাদেশে এখনও এর প্রকোপ কাটেনি। এ দিকে চলছে রোজার মাস, সামনেই ঈদুল ফিতর। কিন্তু ঈদের আগে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিন জুয়েলার্স। গত শনিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আমিন জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাবসা থেকে মানুষের জীবনের মুল্য অনেক বেশি। এখন সময় আমাদের সচেতনতার। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাহী পরিচালক আরও জানিয়েছেন যে তাঁর দোকান কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে ঈদ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব শাখা বন্ধ থাকবে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের দোকান খোলার অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈদের আগে দোকান খুলব না। ঈদের পর স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে দোকান খোলার পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে। ‘