সোনা চোরাচালান রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক-এনবিআরের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাজুস
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
স্বর্ণ চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে মনে করছে সংগঠনটি।
সস্প্রতি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভির স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন- বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
এ অবস্থায় চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে নিম্ন বর্ণিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলো হলো: সোনা চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
এছাড়া ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং-এ কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরীচালনা করা।
বাজুস আশা করছে, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে।