শিরোনাম

South east bank ad

শাপলা চত্বরে তাণ্ডব: তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই হবে চার্জশিট

 প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

শাপলা চত্বরে তাণ্ডব: তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই হবে চার্জশিট

আট বছরেও শাপলা চত্বর তাণ্ডবের মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। আজ বুধবার (০৫ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই চার্জশিট দেওয়া হবে। সেই সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে চার্জশিট দাখিল করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

আট বছরেও শাপলা চত্বর তাণ্ডবের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, শাপলা চত্বরের তাণ্ডবের ঘটনা বিশাল। দায়ের করা মামলায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে দরকার তথ্য-উপাত্ত। সেগুলো আমাদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে হয়েছে। অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে হচ্ছে। যে কারণে মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় লাগছে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হেফাজতের নেতারা কী বলেছেন, তা আমরা জানি না। তবে যারা জড়িত ছিলেন বা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে শুধু তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাপলা চত্বরের তাণ্ডব মতো সহিংসতা চালানোর পরিকল্পনা বা সক্ষমতা হেফাজতের একণও রয়েছে কিনা জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশের প্রধান কাজ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে যা যা করা দরকার তা আমরা করবো। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, হেফাজত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিকভাবে চলবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা চাই না ফের শাপলা চত্বরের মতো তাণ্ডবের ঘটনা ঘটুক। তবে কেউ যদি তাণ্ডব চালায়, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে বা পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব প্রসঙ্গে বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে ব্যাপক নাশকতা হয়। সেটাকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রাম, বাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাণ্ডবে যারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, যুক্তিতর্ক চলছে, সারাদেশে কীভাবে জায়গায় জায়গায় আগুন দেওয়াসহ তাণ্ডব চলেছে, তা সবাই দেখেছে।

তিনি বলেন, যারা যারা নাশকতায় জড়িত ছিল, উস্কানি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো নিরাপরাধী যেন শাস্তি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কেউ যদি নিরাপরাধী হন তা যেন আমাদের জানানো হয়। সে ব্যাপারে আমরা তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে উদ্যোগ নেবো।

হেফাজত ইসলামের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি দায়ের করা মামলার তদন্ত কাজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। তবে আরও আনুষঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ দরকার। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর তাণ্ডবের আট বছরেও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৩ মামলার একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি। সে সময় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় সারাদেশে ৮৩টি মামলায় আসামি করা হয় প্রায় ৮৫ হাজার জনকে।

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: