প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের আলোকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রাথমিকে নিয়োগপ্রত্যাশী এক প্রার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশী মো. তারেক রহমান গত বছর এ রিট করেন।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে ওই প্রজ্ঞাপনের ৮ম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। প্রাথমিকে নিয়োগের এ কোটা পদ্ধতি বৈষম্যমূলকও। এ জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন বলে জানান একলাছ উদ্দিন ভূঁঁইয়া। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।