শহীদ মিনারে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কিংবদন্তি সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে এবং বিভন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ কীর্তিমান এ মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের এ যোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আবদুল গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।
সেখানে জানাজার পর বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে বরেণ্য এই সাংবাদিকের শববাহী কফিন। পরে সাড়ে পাঁচটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এর আগে শনিবার সকাল ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটযোগে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে তার মরদেহ বাংলাদেশে আসে। একই ফ্লাইটে আসেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা।
সরকারের পক্ষে তার মরদেহ গ্রহণ করেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সঙ্গে ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০ মে শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা হয়।
এরপর পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির সদস্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ২৩ মে গাফফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভা আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন।