মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
মালয়েশিয়ায় আজ (২৮ জানুয়ারি) শুক্রবার থেকে বৃক্ষরোপণ খাতে অনলাইনে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে। www.fwcms.com.my এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন জমা শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরী এম সারাভানান। ওইদিন মন্ত্রী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে- দেশটিতে বৃক্ষরোপণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩২ হাজার বিদেশি শ্রমিক আনার জন্য সরকার বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে।
তার আগে গত ১০ জানুয়ারি সারাভানান নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান, তারা প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে আবেদন জমা দিতে পারবেন।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া অন্য সব সেক্টরে বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অনুমোদিত খাতগুলো হলো- কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি এবং খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মী।
বৃক্ষরোপণ ছাড়া ছাড়া অন্য খাতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে www.fwcms.com.my এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যোগ্য নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের (বিভিন্ন সেক্টর) জন্য রেফারেন্সসহ ভিসা (ভিডিআর) আবেদন জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে হামজাহ বলেছেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এই খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানাতে হবে। ধরা যাক, কোনো বাগানে কাজের জন্য ১০০০ কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগ কর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এক নোটিশে বলা হয়েছে, নিয়োগ কর্তাদের অন্তর্ভুক্তে যারা ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর চিঠি ইস্যু করেছে বা যারা ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর পেমেন্ট করেছেন কিন্তু চিঠি ছাপা হয়নি তারা আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান-স্টপ অ্যাপ্রুভাল সেন্টার (ওএসসি) থেকে বিদেশি কর্মীদের চাকরির জন্য শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনের পত্রের একটি এক্সটেনশন পেয়েছেন। নিয়োগকর্তাদের বৈধ বায়োমেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, কোভিড-১৯ কভারেজসহ বীমা এবং বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য বীমা সুরক্ষা প্রকল্প জমা দিতে হবে, বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া।
নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিকে অবশ্যই ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার জন্য নিয়োগকর্তার ঠিকানা অনুযায়ী রাজ্য অভিবাসন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিডিআর চিঠির মেয়াদ বাড়ানোর মেয়াদ ছিল চিঠি জারির তারিখ থেকে চার মাস। নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের জন্য মাই ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করার দরকার নেই যাদের নতুন বা বর্ধিত ভিডিআর চিঠি দেওয়া হয়েছে।