শিরোনাম

South east bank ad

ঘরে ঘরে দরকারি একটি জিনিস ছিলো ব্লেড

 প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার

মির্জা ইয়াহিয়া :

সত্তর, আশির দশক শুধু নয় নব্বইয়ের দশকেও ঘরে ঘরে দরকারি একটি জিনিস ছিলো ব্লেড। আব্বা দাড়ি কাটতেন রেজরে ব্লেড ভরে। আম্মা সেলাই কাজের সময় সুতা কাটার জন্য ব্লেড ব্যবহার করতেন। আশির দশকেও নেইল কাটার তেমন প্রচলিত হয়নি। নখ কাটতে বেশিরভাগ মানুষ ব্লেড ব্যবহার করতো। যা ছিলো অনেক ঝুকিপূর্ণ কাজ। তখন নখ কাটতে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যেতো নিয়মিতই। ছোটরা নখ কাটার বিষয়টি তাই অনেক ভয় পেতো।
অনেক কোম্পানির ব্লেড বাজারে পাওয়া যেতো। সারাদেশে জনপ্রিয় ছিলো বলাকা ব্লেড। এর চেয়ে সামান্য একটু বেশি দাম ছিলো সোর্ড ব্লেডের। এটাও অনেকে ব্যবহার করতেন। কিছুটা অভিজাত মানুষরা ব্যবহার করতেন ট্রিট এবং জিলেটের সেভেন ও'ক্লক ব্লেড। চাকরিজীবী পুরুষরা সকাল সাতটার সময় দাড়ি কেটে গোসল সেরে অফিসের জন্য প্রস্তুত হতেন, এই কারণে ব্লেডের নাম ছিলো সেভেন ও'ক্লক। পরবর্তী সময়ে অভিজাত ব্লেড হিসেবে জিলেট ও শার্প গ্রহণযোগ্যতা পায়।
নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকেও পত্র-পত্রিকায় প্রচুর পরিমাণে ব্লেডের বিজ্ঞাপন দেখা যেতো। রেডিও-টেলিভিশনেও বিজ্ঞাপন প্রচারিত হওয়া ছিলো নিয়মিত ঘটনা। তারপর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্লেডের বিকল্প চলে আসে। এর ব্যবহার কমে যায়। একুশ শতকে ঢাকা শহরে অনেক ঘরেই আর ব্লেড নেই। তার পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে ওয়ানটাইম রেজর, এন্টি কাটার, নেইল কাটারসহ অত্যাধুনিক নানা উপকরণ। এর পজিটিভ ব্যাপার হচ্ছে ব্লেডে হাত-পা কাটাকুটির ঝুঁকি কমেছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি ছিলো বিপজ্জনক উপকরণ। তাই কোনো কোনো পরিবর্তন অনেক উপকারী।
তবে ব্লেড একেবারে যে হারিয়ে গেছে তা নয়। কোথাও কোথাও এর ব্যবহার আছে। যেখানেই থাকুক ব্লেড সাবধানে ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে শিশুদের নাগাল থেকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে।

(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)

BBS cable ad

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: