বেনাপোলে রাজস্ব ফাঁকির হিড়িক!
যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটি সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী।
তিনি বলেন, এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান ভারত থেকে এনে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে রেখেছেন। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশরারসহ একটি টিম বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। যার ওজন ১৭ হাজার কেজি। পণ্য চালানটির শুল্ককরসহ মোট মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ও এর মালিক কে তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো আটক করতেই হবে। সোমবার রাতে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে একটি কাগজপত্র বিহীন ৭০ পিস শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো প্রকার কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না। তবে এ ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামানকে কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সোমবার বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বেনাপোল কাস্টমসের একটি আই আর এম টিমের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দেখতে যান। কাস্টমস সুপার ও ইন্সপেক্টরসহ ৬-৭ জনের একটি টিম তদন্ত করতে দেখা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী তাদেরকে আটক মালামালের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা মুখ খুলতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পরিচয় দিতেও অনিহা প্রকাশ করেন ।
এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এতো বিপুল পরিমাণের একটি পণ্য চালান কীভাবে কাগজপত্র বাদে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার এন্ট্রি ছাড়াই বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলো এবং বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে রাখা হলো। বন্দরের শেড ইনচার্জ এতে সরাসরি জড়িত। তার সহযোগিতা ছাড়া ভারতীয় ট্রাক থেকে এ পণ্য চালান কাগজপত্রবিহীন তার সেডের মধ্যে রাখার অন্য কারো ক্ষমতা নেই।
বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের ইনচার্জ মতিন বলেন, এ পণ্য কার বলতে পারবো না। কীভাবে এ শেডে নামল তাও বলতে পারবো না।
কীভাবে এ অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিওকর্মী থাকেন সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য লোড- আনলোড করে আমার অনুপস্থিতিতে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নামে কোনো সিএন্ডএফ এজেন্টের কোনো অস্তিত্ব নেই বেনাপোলে এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডারম্যানও নেই।
এদিকে বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জ মতিনুল এর ব্যাপারে জানার জন্যে বন্দরের ডি ডি রাশেদুল সজিব নিশাদকে মূঠো ফোনে কয়েকবার কল করার পর সাংবাদিক এর নম্বর টের পেয়ে তিনি ছোট বাচ্চাকে দিয়ে কল রিসিভ করিয়ে ২ মিনিট পার হলেও তিনি ফোনে কথা বলেননি ।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা কেন কথা বলতে অনিচ্ছুক তা নিয়ে নানা সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সংবাদিকদের মধ্যে।
এছাড়াও বন্দরে ঘটে যাওয়া এমন কাজকে কে বা কারা মদদ দাতা সেটা নিয়েও চলছে নানা মত বিরোধ ।
এ চালানটি ভারত থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় আনলোড হয় ভারতীয় ট্রাক থেকে। এরপর বেলা ১২টার দিকে ওই পণ্য কাগজপত্রবিহীন একটি কাভার্ডভ্যান ট্রাকে লোড করার সময় কাস্টমস আটক করে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যেমে স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় পণ্য নিয়ে এসে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এদের কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স না থাকলেও তারা বেনাপোলের কয়েকজনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে এ কাজ করে থাকেন। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ভাড়া নেয়া সদস্যরা দিনে দিনে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী।
তিনি বলেন, এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান ভারত থেকে এনে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে রেখেছেন। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশরারসহ একটি টিম বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। যার ওজন ১৭ হাজার কেজি। পণ্য চালানটির শুল্ককরসহ মোট মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ও এর মালিক কে তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো আটক করতেই হবে। সোমবার রাতে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে একটি কাগজপত্র বিহীন ৭০ পিস শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো প্রকার কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না। তবে এ ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামানকে কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সোমবার বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বেনাপোল কাস্টমসের একটি আই আর এম টিমের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দেখতে যান। কাস্টমস সুপার ও ইন্সপেক্টরসহ ৬-৭ জনের একটি টিম তদন্ত করতে দেখা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী তাদেরকে আটক মালামালের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা মুখ খুলতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পরিচয় দিতেও অনিহা প্রকাশ করেন ।
এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এতো বিপুল পরিমাণের একটি পণ্য চালান কীভাবে কাগজপত্র বাদে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার এন্ট্রি ছাড়াই বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলো এবং বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে রাখা হলো। বন্দরের শেড ইনচার্জ এতে সরাসরি জড়িত। তার সহযোগিতা ছাড়া ভারতীয় ট্রাক থেকে এ পণ্য চালান কাগজপত্রবিহীন তার সেডের মধ্যে রাখার অন্য কারো ক্ষমতা নেই।
বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের ইনচার্জ মতিন বলেন, এ পণ্য কার বলতে পারবো না। কীভাবে এ শেডে নামল তাও বলতে পারবো না।
কীভাবে এ অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিওকর্মী থাকেন সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য লোড- আনলোড করে আমার অনুপস্থিতিতে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নামে কোনো সিএন্ডএফ এজেন্টের কোনো অস্তিত্ব নেই বেনাপোলে এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডারম্যানও নেই।
এদিকে বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জ মতিনুল এর ব্যাপারে জানার জন্যে বন্দরের ডি ডি রাশেদুল সজিব নিশাদকে মূঠো ফোনে কয়েকবার কল করার পর সাংবাদিক এর নম্বর টের পেয়ে তিনি ছোট বাচ্চাকে দিয়ে কল রিসিভ করিয়ে ২ মিনিট পার হলেও তিনি ফোনে কথা বলেননি ।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা কেন কথা বলতে অনিচ্ছুক তা নিয়ে নানা সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সংবাদিকদের মধ্যে।
এছাড়াও বন্দরে ঘটে যাওয়া এমন কাজকে কে বা কারা মদদ দাতা সেটা নিয়েও চলছে নানা মত বিরোধ ।
এ চালানটি ভারত থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় আনলোড হয় ভারতীয় ট্রাক থেকে। এরপর বেলা ১২টার দিকে ওই পণ্য কাগজপত্রবিহীন একটি কাভার্ডভ্যান ট্রাকে লোড করার সময় কাস্টমস আটক করে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যেমে স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় পণ্য নিয়ে এসে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এদের কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স না থাকলেও তারা বেনাপোলের কয়েকজনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে এ কাজ করে থাকেন। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ভাড়া নেয়া সদস্যরা দিনে দিনে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।