আগামী বাজেটে কিছু কঠিন পদক্ষেপ থাকবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

বাজেটে ব্যয় কমানো ও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজস্ব ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে একটা সিগন্যাল পাবেন। আমরা একটু সহনীয় করার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেব। এত খারাপের মধ্যে রাজস্ব গ্রোথ ভালো আছে। এপ্রিলের দিকে আমরা আরও ভালোর দিকে যাব।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ অনেক কম। যেটা সভ্য দেশের লক্ষণ নয়। আমাদের সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে। দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করতে করের হার অনেক কমিয়েছি। সবার থেকে যেহেতু কর আদায় করতে পারি না, আবার কর ফাঁকি হয়। তাই যখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই কমপ্লায়েন্ট কর দাতারা তখন অভিযোগ করেন।
আব্দুর রহমান খান বলেন, এক কোটি ১৫ লাখ ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের (টিআইএন) মধ্যে আয়কর রিটার্ন দেন মাত্র ৪০ লাখ। যারা আয়কর রিটার্ন দেয় না তাদের আমরা নোটিশ করছি। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশন করছি। আগামী বছর থেকে করপোরেট কর অনলাইনে আদায় করব।
অটোমেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ডের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অটোমেশন করতে পেরেছি। সেন্ট্রাল বন্ডেড হাউজে নানান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সিঙ্গেল উইন্ডোতে অটোমেশন করছি। এগুলো হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। ব্যবসায়ীরা আমাদের প্রতিনিয়ত কর কমানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু আমাদের কর আদায় বাড়াতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চাইলেই এনবিআর কর অব্যাহতি দিতে পারবে না। এ ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকবে না। কস্ট বেনিফিট অ্যানালাইসিস ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে জাতীয় সংসদ ঠিক করে দেবে কে বা কোন প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতি পাবে।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবীর।