South east bank ad

চার দশকে ছয়বারের ভয়াবহ বন্যায় ২০২৪ সালেই মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি

 প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

চার দশকে ছয়বারের ভয়াবহ বন্যায় ২০২৪ সালেই মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি

গত চার দশকে ছয়বার ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৭ ও চলতি ২০২৪ সালে। প্রতিটি বন্যার পরই দেশে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতির হার।

গত চার দশকে ছয়বার ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৭ ও চলতি ২০২৪ সালে। প্রতিটি বন্যার পরই দেশে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতির হার। তবে এ চার দশকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালেই বন্যাপরবর্তী মূল্যস্ফীতির হার দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।

তবে এ বন্যাই উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রধান প্রভাবক কিনা, সে বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, শুধু বন্যাকে এখানে মূল প্রভাবক বলা যাবে না। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইনের বড় জোগানদাতারাও পরিবর্তন হয়ে গেছে, যা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলার বড় একটি কারণ। বন্যার চেয়ে ‘মানবসৃষ্ট সংকটই’ উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব রেখেছে বেশি।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বন্যায় ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, ডলার সংকটের কারণে তা আমদানির মাধ্যমে পুষিয়ে দেয়া যায়নি। আবার ডলারের বিনিময় হার বেড়ে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও মূল্যবৃদ্ধিকে উস্কে দিয়েছে। যদিও সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি।

দেশের বিগত চার দশকের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে পরপর দুই বছরে ভয়াবহ দুটি বন্যার কবলে পড়েছিল বাংলাদেশ। ব্রহ্মপুত্র রিভার বেসিনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ১৯৮৭ সালের জুলাই-আগস্টে প্লাবিত হয়েছিল দেশের ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা। বন্যাক্রান্তের সংখ্যা ছিল দুই কোটির বেশি। সেবার (১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে) মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

এর ঠিক এক বছরের মাথায় ১৯৮৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে আরো বড় আকারে। ওই বছরে প্লাবিত হয় দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা। স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয় কয়েক লাখ মানুষ। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় অর্থনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। বন্যার প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। বন্যার প্রভাবে ওই অর্থবছরে (১৯৮৮-৮৯) মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশে।

ভয়াবহতম বন্যাগুলোর মধ্যে এর পরেরটি দেখা দেয় ঠিক ১০ বছর পর। ১৯৯৮ সালে অতিবৃষ্টি ও উজানি ঢলে নদীগুলোর পানি বেড়ে প্লাবিত হয় দেশের প্রায় ৬৮ শতাংশ এলাকা। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এ বন্যায় আক্রান্ত হয় ৩ কোটির বেশি মানুষ। বন্যার স্থায়িত্বও ছিল অনেক বেশি। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ। দেশের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারণ করে। তবে ওই বন্যার প্রভাবে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

ওই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের বন্যা মোকাবেলার সক্ষমতা এখন বেড়েছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যু ও সম্পদহানির পরিমাণও আগের চেয়ে কমেছে। ফলে বাজার অস্থিতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে বন্যার ভূমিকা আগের তুলনায় গৌণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় এখন মানুষ ও প্রাণীর জীবনহানি কমেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে ও আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। জাতীয় পর্যায় থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলার কমিটি আছে। আর সাম্প্রতিক বন্যায়ও উৎপাদন এত বেশি ব্যাহত হয়নি যে মূল্যস্ফীতি উস্কে উঠবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থাও ধসে পড়েনি। বরং বন্যাকে কারণ হিসেবে বলা হলেও এটা নিতান্তই মানবসৃষ্ট কৃত্রিম সংকটের কারণে তৈরি হয়েছে।’

একইভাবে ২০০৪ সালেও জুলাই-আগস্টে অতিবৃষ্টি এবং ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা বেসিনে উজানের পানি বাড়ায় ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয় বাংলাদেশ। তখন দেশের ৩৮ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। হাজার হাজার একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িঘর ও অবকাঠামোগত ক্ষতির প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। ওই অর্থবছরে (২০০৪-০৫) মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশে।

এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৭ সালে আরো একটি বড় ধরনের বন্যার শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশ। কয়েক সপ্তাহের এ বন্যায়ও ফসল ও অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশে চালের সংকট দেখা দেয়। আমদানিতেও তৈরি হয় জটিলতা। বাড়তে থাকে জনঅসন্তোষ। বলা হয়, ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় (২০০৭-০৮ অর্থবছর) মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। ওই বছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে (২০০০-০১ অর্থবছরকে ভিত্তি ধরে), যা ছিল তখন পর্যন্ত ২২ বছরে সর্বোচ্চ।

এর ১৬ বছরেরও বেশি সময় পর গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পটপরিবর্তন ঘটে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের তিনদিনের মাথায় ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। এর কিছুদিনের মধ্যেই আবার দেশের উত্তরাঞ্চল বন্যায় আক্রান্ত হয়। নষ্ট হয় আমন ধান ও সবজির খেত। বাজারে যার প্রভাব পড়তেও দেরি হয়নি। বাড়তে থাকে চাল থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। ডিম ও মুরগির বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। প্রথমবারের মতো সরকার সবজি পণ্যও খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরও গত অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বন্যার পর আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশে। একই সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতির গড় হার দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতির এভাবে লাগামহীন হয়ে ওঠার পেছনে এখন পর্যন্ত বন্যাকেই দায়ী করা হয়েছে বারবার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ৩৮ বছরের ভয়াবহতম বন্যাগুলোর পর মূল্যস্ফীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা এবারের মতো এতটা লাগামহীন হয়নি। তবে এক্ষেত্রে বন্যা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ও প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এবার বন্যার প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে সত্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় আমদানি না করতে পারায় পণ্যের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ডলার সংকট এবং এলসি জটিলতায় আমদানি করা যায়নি। আবার টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। অনেক কথা বললেও তারা সফল হয়নি।’

আগামী মাসে চালসহ সবজির দাম কিছুটা কমবে—এ প্রত্যাশা জানিয়ে এই কৃষি অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘কিছুটা কমলেও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল না হলে মূল্যস্ফীতির হার ৯-১০ শতাংশের নিচে নামানো মুশকিল।’

এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিয়মিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন বা ৩০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। খাদ্য ব্যয় সংকোচনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ২৯ শতাংশ মানুষ। আর সার্বিক জীবন-জীবিকায় ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ৭১ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, মূল্যস্ফীতির পেছনে বন্যা বড় ফ্যাক্টর না। এ বিষয়ে জলবায়ু অর্থনীতিবিদ ড. এ কে এনামুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে এক বছরে ফসলের কয়েকটি মৌসুম রয়েছে। এক মৌসুমে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরের মৌসুমে তা পুষিয়ে নেয়া যায়। তাই বন্যার বছরগুলোয় আমরা কৃষি খাতের ফলন ব্যাপকভাবে কমতে দেখি না। বিবিএসের কৃষি উৎপাদনের তথ্যও তা-ই বলছে। ডাটায় সমস্যাও থাকতে পারে। তবে এবার পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইনের বড় প্লেয়ারদের পরিবর্তনের কারণেই কিছুটা সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এখানে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে বন্যাটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে হয় না আমার কাছে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে বন্যা অবশ্যই অন্যতম একটি কারণ। মূল কারণ এখনো দেশের মোট পণ্য ও সেবার তুলনায় মোট কাগুজে মুদ্রা অনেক বেশি। অর্থনৈতিক মূল্যমানের আনুপাতিক হারেও এটি এখনো অনেক বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুকৃত কাগজি মুদ্রার পরিমাণ এখন ইতিহাসে সর্বোচ্চে, যার অধিকাংশই ব্যাংক খাতের বাইরে। যে কারণে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতি হয়েছে এবং একই সঙ্গে মুদ্রা সংকোচন হচ্ছে। এ ধরনের উভয় সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। এ মুহূর্তে এর বিপরীত মুদ্রানীতি গ্রহণেরও সুযোগ নেই বলে আমার ধারণা। এটা আমি ম্যাক্রো প্রেক্ষাপটে বলছি। কিন্তু মাইক্রো প্রেক্ষাপটে বলতে হয় সরবরাহের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বা যেটাকে রেন্ট সিকিং বা চাঁদাবাজি বলা হয়, এ ধরনের সমস্যাগুলো কমছে। কিন্তু বাজারে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি কৃত্রিম বিড়ম্বনা তৈরি করছে ডিও বা এসও (ডেলিভারি অর্ডার বা সাপ্লাই অর্ডার)। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও গম—এসব পণ্য ডিওর মাধ্যমে নিতে হয়। বাজারে বিলম্বে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও গম আনার মাধ্যমে মজুদদারি করা হচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে ডিম আটকে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী বাজারে পণ্য আনার ক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটাচ্ছেন এ ডিওগুলোকে ডেলিভারি না নিয়ে। এতে করে বাজারে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটা কৃত্রিম বিলম্ব ঘটানো হচ্ছে।’

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: