রহিম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ১৯ শতাংশ
বস্ত্র খাতের কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২২৯ টাকা ৬০ পয়সা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯৩ টাকা। এতে কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএনভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে রহিম টেক্সটাইলের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৩ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭৯ পয়সায়।
রহিম টেক্সটাইলের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এএ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৫ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস পিএলসি (সিআরআইএসএল)।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রহিম টেক্সটাইলের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩। এর ৭০ দশমিক ৯৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক শূন্য ৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


