তিন তরুণের আইডিয়া “ঝটপট ডেলিভারী সার্ভিস”
বেনজির আবরার:
সময়টা ই-কমার্সের। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নানা বয়সের তরুণরা গড়ে তুলছেন স্ব-উদ্যোগে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্টান। এরমধ্যে ভালো কিছু স্টার্টাপ পেয়েছে বাংলাদেশ, এরমাধ্যমে অবশ্য ঘুঁচেছে অনেক বেকার যুবকের ভাগ্য।
ঠিক এরকমই একটা উদ্যোগ নিয়ে এসেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী। নাম “ঝটপট ডেলিভারী সার্ভিস”। আইডিয়াটা হলো ” অনলাইনে পেইজগুলোর প্রোডাক্ট মানুষের হাতে পৌঁছাতে বিক্রেতাদের অনেক ঝক্কিঝামেলা পার হতে হয়, দেশে প্রচুর তরুণ-তরুণী ই-কমার্সে ব্যাবসায় করছেন। ভাবনা হলো যদি মাঝের কাজটা আমরা করি তাহলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। এভাবেই বলছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত।”
প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর নাহিদ হাসান সরকার বলেন,”মানুষের কাছে তাদের অর্ডারের জিনিস পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করি আমরা, বর্তমানে ১৬ জন কাজ করছে আমাদের টিমে। ইতোমধ্যে ঢাকাজুড়ে আমরা কাজ করছি, প্রচুর তরুণ উদ্যোক্তা আমাদের সাথে চুক্তি করছেন তাদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। এভাবেই দারুণ আকার লাভ করছে ঝটপট ডেলিভারী সার্ভিস”।
এত ব্যবসায় থাকতে এমন ব্যতিক্রম চিন্তা ভাবনা কেনো জানতে চাইলে ঝটপট ডেলিভারী সার্ভিসের সিইও মো. কারিম খান জানালেন, “আমরা যখন দেখলাম বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ তরুন তরুণী অনলাইন/ই-কমার্স ব্যবসায় বেছে নিয়েছে এবং খুবভালো ফিডব্যাক পাচ্ছে। কিন্তু একটি সমস্যা সবাই ফেস করেতেছে সেটি হল প্রোডাক্ট ডেলিভারী। আর তখনই আমরা দেখলাম এই পুরো অনলাইন ব্যবসায় এর সব চেয়ে গুরুত্বপুর্ন একটি অধ্যায় হল ডেলিভারী পদ্ধতি।আর সিদ্ধান্ত নিলাম এই ডেলিভারী পদ্ধতিকে আরো গতিশীল এবং সহজ করতে হবে। আর তখন থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। “
ঝটপট ডেলিভারী সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
২০১৭ সালের ১৯ জুন। গ্রাহককে সেরা সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়মিত চলছে তাদের মগবাজারস্থ অফিসের কার্যক্রম।তাদের বর্তমান লক্ষ্য- ই-কমার্স/অনলাইন বিজনেস কে আরো গতিশীল এবং সহজ করতে প্রতি নিয়ত কাজ করা। বাংলাদেশের ই-কমার্স কে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে Jhotpott Delivery Service ঢাকা শহরের ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সাথে পরিচিত করানো এবং আগামীতে পুরো বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় ই-কমার্স এর সেবা নিশ্চিত করা।