পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকেও থামাতে চায়
বঙ্গবন্ধু একটি বিস্ময়ের নাম। যিনি বাংলাদেশ নামের আরেকটি বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে আজকের এই বাংলাদেশ দেখতে হত না। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস এক মহাজাগরণের কথা বলে। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন তিনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রেক্ষাপট ছিল। শোষণ, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। শোষণ আর সাম্প্রদায়িকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার চেতনাই ছিল মূল ভিত্তি।
আর আপনি যদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলেন, তাহলে দেখবেন মূল ভিত্তিটা দাঁড়িয়েছিল ১৯৭৫ সালের আগেই। বঙ্গবন্ধুর সময় জিডিপি ৭ শতাংশ পার হয়েছিল। এই চিত্র বঙ্গবন্ধুর হত্যার ৩০ বছরে আর দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা ফের সেই যাত্রা শুরু করেছি। কিন্তু ৩০ বছরে বহু হারিয়েছি’।
আজ অনেকেই হংকং, সিঙ্গাপুরের উন্নয়ন নিয়ে উদাহরণ দেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হতে পারত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে রূপ দেয়া হয়েছিল। সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’।
রাজনৈতিক জীবনে ২১ বার হামলার শিকার হয়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বে এমন কোনো রাজনৈতিক পরিবার দেখাতে পারবেন না, যেখানে এত ত্যাগ, এত বিসর্জন আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি দিতেই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তা নয়, বাঙালি জাতিকে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদায় আসীন করছেন’।
মূলত কৌশলী রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিএনপি জামায়াতি মতবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। রাজনীতির বিভাজন এখান থেকেই। যেমনটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের আগে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করলেও সেই শক্তির ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রায়। দেশি-বিদেশি শক্তির উপর্যুপরি ষড়যন্ত্রের কারণেই ১৫ আগস্ট। একটি জাতিকে নানা কৌশলে বিভাজিত করা হয়েছিল।
রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বৈষম্য মূলত ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা গোলাম আযমকেও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে দেখেছি। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে! বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও আছে। পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে থামাতে চায়। লোভ, ঘৃণা, জঙ্গিবাদ বা সাহেদ মার্কার রাজনীতির যে পত্তন ১৯৭৫ সালের পর প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, তার জাল এখনও বিস্তার রয়েছে। আমরা সেটি মোকাবিলা করেই উন্নয়নের পথে হাঁটছি’।