বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলা জেলা আ'লীগের আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত
 
                                                                                                সিমা বেগম ভোলাঃ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর (১০১) তম জন্মদিনকে ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করেন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব, সাবেক সফল শিল্প-বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়েই আমি মনে করি তিনি স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছিলেন-এই দেশ বাঙালিদের জন্য হয় নাই। এক দিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদের হতে হবে। এই লক্ষ্য সামনে নিয়ে তিনি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ গঠনসহ ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন।
বুধবার ১৭ মার্চ সকালে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বাংলা স্কুল মাঠ ভাসানী মঞ্চে শতবর্ষ উৎসব উদযাপন ও র্যালীর উদ্বোধনকালে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এমপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে নেতা জীবনের ১৩টি মূল্যবান বছর কারাগারে কাটিয়ে একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু আপস করেননি কোন দিন। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রুপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবন বাঙালির জাতির জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা, যার কোনো প্রটোকল ছিল না।
তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনি আমাকে তার পাশে রেখেছিলেন এবং পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আজ পৃথিবীর বহু রাজনীতিবীদরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার অর্জনের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল। অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন, যা তার কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলতেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ১৯৮১ সালে আ’লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম আমরা।
ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকিব, পৌরসভার মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুছ, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, মোঃ সফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।


 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                            
 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                 
                                                                                