ঝালকাঠির বিভিন্ন হাট-বাজার পানিফল বাঙ্গি-তরমুজে সয়লাব

রাজু খান (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ ও বাঙ্গি। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। প্রতিকেজি ৪০টাকা হিসেবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ ফল। দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও স্বল্প আয়ের বেশির ভাগ মানুষের এই ফল ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এদিকে আবহাওয়া রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে কম। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে বলে জানান বিক্রেতারা। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার শহরের বাজারে কিংবা সড়কের পাশে মৌসুমি ফল তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ফলের দোকানগুলোতে আপেল, কমলা, পেয়ারা, আঙ্গুর, মাল্টা, আনারসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল বাঙ্গি এবং তরমুজও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। দাম বেশি হলেও মৌসূমী ফলের স্বাদ নিতে ক্রয় করছেন বাঙ্গি ও তরমুজ। এদিকে চড়া মূল্যের কারণে অনেকেই আবার খরচের তালিকায় রাখতে পারছে না এই ফল। গ্রামের ফুটপাথে সবজি বিক্রেতা আ. মান্নান বলেন, বাজারে নতুন ফল উঠলে মন চায় তা খেতে। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে আর কী হবে। আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করতে হয়। তাই হিসাব করে চলতে হয়। সে কারণেই এত দাম দিয়ে ফল কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলে মেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও, দাম বেশি তাই কিনতে পারছি না। কদিন গেলে যখন দাম কমবে তখন কিনব। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে বাঙ্গির বেশ চাষাবাদ হয়। কিন্তু তরমুজের বেশি চাষাবাদ হয় না। তাই বাজারে বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের তরমুজ কিনে আনতে হচ্ছে। মোকামে তরমুজের আমদানি কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় ৫০হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয় বলে জানান উপপরিচালন মো. ফজলুল হক মিয়া।