সিলেটের মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ভিড়
এ এস রায়হান (সিলেট):
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে সিলেটে মার্কেটগুলোতে ততই বাড়ছে ভিড়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া এর ভিড় ইফতারের পূর্বমুহূর্তে কিছুটা কমলেও ফের ভিড় বাড়ে ইফতারের পর। থাকে গভীর রাত পর্যন্ত।
ছুটির দিন শুক্রবার (৭ মে) সিলেটে সকল মার্কেট খোলা থাকায় সকালের দিকে মানুষের ভিড় কম দেখা গেলেও বিকাল হতেই বাড়ে ভিড়। বিকাল ৪ টার দিকে নগরীর শুকরিয়া মার্কেট, ব্লু-ওয়ার্টার, আল হামরাসহ নামীদামী সকল মার্কেটে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
বন্দর এলাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হাসান মার্কেটেও মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। আর জিন্দাবাজার এলাকার নারীদের নিত্যদিনের ব্যবহারের পোশাক, কসমেটিক্স ও কাপড়ের জন্য জনপ্রিয় জিন্দাবাজার ফেডারেল ট্রেড সেন্টার ও শ্যামলী মার্কেটেও ভিড় আরও বেশি। তবে এখনো নারীদের ভিড়ই বেশি দেখা গেছে।
উচ্চ ঝুঁকির সিলেটে করোনা সংক্রমণের এ সময়েও স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যবসায়ী কিংবা ক্রেতা কাউকেই খুব বেশি একটি মনোযোগ দিতে দেখা যায়নি। মানুষের চাপের কারণে শারীরিক দূরত্ব কোন ভাবেই মানা সম্ভব হচ্ছে না। আর মাস্ক ব্যবহারেও খুব আগ্রহ নেই কারো। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার কথা থাকলেও মুখের বদলে তা ঝুলানো হচ্ছে থুঁতনিতে।
তবে সম্প্রতি শুক্রিয়া মার্কেটে প্রশাসনের অভিযানের পর এখন কিছুটা সতর্ক সিলেটের ব্যবসায়ীরা। গেলো ৫ মে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে অবস্থিত শুকরিয়া মার্কেটের তিনটি দোকানকে জরিমানা করে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মার্কেটের ভিতর থেকে ক্রেতাদের বের করে দিয়ে মার্কেট বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর পর থেকে সিলেটের সকল মার্কেটের সামনেই অতিরিক্ত সতর্কতা দেখা গেছে।
এদিকে ঈদের বাজারে মানুষের ভিড় যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে যানজট। বিশেষ করে প্রাইভেট যানবাহন, অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত পরিবহণ তুলনামূলক বেড়ে যাওয়ায় সড়কে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরীর সকল জায়গাতেই যানজট শামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকেও।