South east bank ad

একমাত্র আয়ের উৎস "বোরাক" চুরি হওয়াতে দিশেহারা প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান

 প্রকাশ: ০৭ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

একমাত্র আয়ের উৎস "বোরাক" চুরি হওয়াতে দিশেহারা প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান

সিমা বেগম (ভোলা):

ভোলায় বিভিন্ন বেসরকারি (এনজিও) সংস্থার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে অর্থ নিয়ে বোরাক কিনেছিলেন প্রতিবন্ধী ত্রিশোর্ধ্ব মিজানুর রহমান। তার আয়ের একমাত্র উৎসটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাকালু গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক মিজানুর রহমান।

প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালের দিকে ধান মাড়াই করার সময় হঠাৎ মেশিংয়ে ডান হাত কেটে যায়। পরে ভোলা, বরিশাল ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জমি-জমা ও জমানো টাকাসহ হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। তবে এতোকিছুর পরেও কারো কাছে হাত পাতেননি তিনি।

সংসারের সবার মুখে খাবার তুলে দিতে বোরাক চালানো শেখেন তিনি। প্রায় দেড় বছর আগে একটি এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে একটি বোরাক কিনেন। এক হাত দিয়ে বোরাক চালিয়ে ঋণ-দেনা ও সংসার চালাচ্ছিলেন মির্জাকালু গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের ছেলে মিজানুর রহমান। ২ মাস আগে বোরাকের ব্যাটারিটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবারও এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে ব্যাটারী কিনেন।

মিজানুর রহমান আরো বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বোরহানউদ্দিন থেকে ৫০০ টাকা ভাড়ায় রোগী নিয়ে ভোলা অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। রোগীকে নামিয়ে ওই ডায়াগনস্টিকের সামনের রাস্তায় বোরাকটি রেখে তিনি আড়াইটার দিকে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এসে দেখেন তার একমাত্র আয়ের উৎস বোরাকটি নেই।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে স্পষ্ট দেখা যায়, মিজানুরের বোরাকটি রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল। প্রথমে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা এক যুবক এসে বোরাকের ভেতরে বসে চাবির লকের তার কেটে দেয়। পরে আরেকজন লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা যুবক বোরাকটি চালিয়ে নিয়ে যান।

ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী যুবক থানায় অভিযোগ করেছেন। বোরাকটি উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: