নদীতে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার মৎস্য কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলার দৌলতখানে নদীতে অভিযান গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন।
গত মঙ্গলবার (২৯) মার্চ দৌলতখানের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মৎস্য কর্মকর্তা দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নেন । মৎস্য কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি দৌলতখানের মদনপুর, তুলাতলি মেঘনা নদীতে অভিযানে টহল দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল সহ ভেড়জাল জব্দ করেন। এসময়ব টহলরত অবস্থায় দৌলতখানের চৌকিঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের ট্রলার দেখে তারা ধাওয়া করলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাটি নদীর অন্যদিকে মোড় নেয়।
পরে নৌকাটিকে ধাওয়া করলে উল্টো নৌকাটি এসে দ্রুতগতিতে মৎস্য বিভাগের নৌকায় সজরে ধাক্কা দেয়। এতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহ তাদের এক স্টাফ গুরুতর আহত হয় বলে মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন দাবী করেন।
পরে ট্রলারে থাকা বিভিন্ন প্রাজাতির রুই,কাতল, পোয়া মাছ সহ ট্রলারটি আটক করে ঘাটে নিয়ে আসলে মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে ট্রলারে থাকা রুই, কাতল , পোয়া মাছগুলো আওলাদ চেয়ারম্যানের লোকজন নিয়ে যান বলে মৎস্য কর্মকর্তা জানান।’
ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আওলাদ হোসেন জানান, ইউএনও’র অনুমতি নিয়ে তার লোকজন ভবানীপুর ইউনিয়নের চর হাজারী গুচ্ছগ্রামের পুকুর থেকে রাতে মাছ ধরে নিয়ে আসার পথে নদীতে মৎস্য বিভাগের ট্রলারের সাথে ধাক্কা লাগে । তবে নৌকায় পুকুরের দেশীয় রুই, কাতল মাছ ছিলো, পোয়া মাছ ছিলোনা । আর আমি নৌকায় ছিলাম না। চরে যাওয়া লোকজন এসে আমাকে জানিয়েছে। তবে চর হাজারীর গুচ্ছগ্রামের পুকুরে দিনের বেলায় মাছ না ধরে রাতে কেন ধরলেন? এ প্রশ্নে তিনি চুপ হয়ে গেলেন।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আমাকে না জানিয়ে রাতে বেআইনি ভাবে ভবানীপুর ইউনিয়নের চর হাজারীর গুচ্ছগ্রামের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে আসে বলে খবর পাই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নদীতে অভিযানে গিয়ে হামলায় শিকার হোন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।