South east bank ad

বেনাপোল কাস্টম হাউজের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৬ হাজার ২৪৫ কোটি

 প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউজের মাধ্যমে আমদানি পণ্য থেকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের গ্রোথ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি হলেও ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যর বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮-তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের লক্ষ্য আদায় নিয়ে সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। তারা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাস্টমস ও বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনও এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেন।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, কাস্টমস ও বন্দরের নানা অব্যবস্থাপনায় আমদানি কমেছে এ বন্দর দিয়ে। বেনাপোল কাস্টমসে আমদানি পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেই। এতে খুলনা ও ঢাকা থেকে পরীক্ষা করাতে মাসের অধিক সময় লেগে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় পণ্য চালান আটকা পড়ে থাকায় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কয়েক বছর ধরে রাজস্ব আয় কমার ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় কারণ বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা যেখানে সুবিধা পাবেন, সে পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহী হবেন—এটাই স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক সুবিধা বিদ্যমান, তাই ব্যবসায়ীরা দিন দিন সে পথে আমদানিতে ঝুঁকছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ও বন্দরে বৈধ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা এ পথে আবার ফিরে আসবেন।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। আমদানির চাহিদা বাড়লেও গত ৫ বছর আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হতো, এখনও তা একই পরিমাণে রয়েছে। আমদানি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বন্দরে রাস্তার সংকীর্ণতা রয়েছে। বারবার বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বলা হলেও সেদিকে নজরদারি কম।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পণ্যগারের জন্য জমি অধিগ্রহণ, নতুন পণ্যগার নির্মাণ ও বন্দর এলাকায় রাস্তাঘাটের অনেকটা উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।

BBS cable ad

এনবিআর এর আরও খবর: