টিসিবির মাধ্যমে মাসে ৬ হাজার টন তেল সরবরাহের অনুমতি এনবিআরের
ভোজ্যতেলের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় এসজি অয়েলসকে শর্তসাপেক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ছয় হাজার টন ভোজ্যতেল স্থানীয় বাজারে সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি এনবিআরের এক চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
ওই চিঠির সূত্রে জানা যায়, বেপজা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসজি অয়েলস রিফাইনারিজ লি. কর্তৃক মাসে ছয় হাজার টন তেল টিসিবির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের জন্য অনুমতি পেতে চিঠির মাধ্যমে এনবিআরকে অনুরোধ জানায়। তবে ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত সুযোগ ও স্থানীয় বাজারে তেল উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়ে অনুমতি দিতে অপারগতা জানায় এনবিআর। পুনরায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠির মাধ্যমে ১ কোটি স্বল্প আয়ের পরিবারের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চয়তায় তেল সরবরাহের আবেদন বিবেচনার অনুরোধ জানায়। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আসন্ন রমজান মাসে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকিমূল্যে তেল সরবরাহের বিষয় বিবেচনা করে তেল সরবরাহের অনুমতি দেয় এনবিআর। তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে এনবিআর সাতটি শর্ত দিয়েছে।
এনবিআরের শর্তের মধ্যে রয়েছে, সরবরাহকৃত পণ্যের প্রতিটি চালান এক্স বন্ড বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে খালাস করতে হবে। আইনের ৯৫ ধারার ২(বি) অনুযায়ী ওই পণ্যের ওপর সব শুল্ক, কর, ফি ইত্যাদি ওয়্যারহাউজ থেকে খালাসের আগেই পুরোপুরি পরিশোধ করতে হবে। সরবরাহকৃত পণ্য এবং উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের বিবরণ ফরমে যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে। আইন অনুযায়ী বন্ডেড ওয়্যারহাউজে যেসব রেজিস্টার ও অন্যান্য দলিলাদি সংরক্ষণ করা হয়, তাতে বিক্রয়ের বর্ণনা তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টিসিবিতে আগের মাসে সরবরাহকৃত পণ্যের বিবরণ যথাযথ প্রমাণসহ মোংলা কাস্টম হাউজে দাখিল করতে হবে। একইভাবে টিসিবি প্রতি মাসে গৃহীত পণ্যের বিবরণ পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পাঠাবে। কাস্টম হাউজ উভয় তালিকা যাচাই করে মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এনবিআরে পাঠাবে।