শিরোনাম

South east bank ad

শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে তদন্তের রিটের রায় ১৫ মার্চ

 প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   দুদক

শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে তদন্তের রিটের রায় ১৫ মার্চ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত চেয়ে রিটের আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান।

শরীফ উদ্দিনের ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে উভয়পক্ষের আরও বক্তব্য থাকলে তা ৮ মার্চের মধ্যে লিখিত আকারে দাখিল করতে হবে বলে আদেশ দেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী শরীফ উদ্দিন কক্সবাজারে থাকা অবস্থায় ৩৩টি (২৫টি লিখিত ও ৮টি মৌখিক) আদেশে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে না দিতে অনুরোধপত্র দেওয়ার পর আইন অনুযায়ী শরীফ উদ্দিন কমিশনে অনুমোদনের আবেদন করেছিলেন কিনা, তা রিটকারী পক্ষের আইনজীবীকে জানাতে বলা হয়েছিল।

এর আগে আদালতে শুনানির সময় আইনজীবী শিশির মনির প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো স্বাধীন সংস্থা বা সরকারি কর্মকর্তার কোনো আদেশ যদি আদালত বেআইনি বা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপরে কি সে কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরিচ্যূত করা হয়? হাইকোর্টের আদেশ যখন আপিল বিভাগ এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করেন, তারপর কি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের বিচারকদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়? এরকম কোনো নজির নেই।

কিন্তু শরীফ উদ্দিনের বেলায় তা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে দুদকের ভাবমূর্তি নিয়ে। যে কারণে বিষয়টির অনুসন্ধান প্রয়োজন, রিটে তাই চাওয়া হয়েছে।

আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, দুদকের কর্মকর্তা হিসেবে শরীফ উদ্দিন তার ক্ষমতার অপব্যহার করেছেন। তিনি ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন কমিশন বা আদালতের অনুমোদন-অনুমতি ছাড়া। যে ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা নেই, যে ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৬ টাকা, সেরকম ব্যাংক হিসাবও তিনি জব্দ করেছেন।

শরীফ উদ্দিন চরমভাবে পেশাগত অসদাচরণ করেছেন। দুদক চাকরিবিধি ৫৪ (২) অনুযায়ী অন্তর্নিহিত ক্ষমতা দিয়ে তাকে অপসারণ করেছে। কারণ শরীফ উদ্দিন কমিশনের আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করছিল। সে কমিশনের বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আর কমিশন কখন কাকে, কোথায় বদলি করবে, অপসারণ করবে তা কমিশনের নিজস্ব ব্যাপার। তাছাড়া এতে জনস্বার্থও জড়িত না। সুতরাং এ রিটের এখতিয়ার রিটকারীদের নেই। এ রিট চলে না।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য ৮ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন। আদালতে শুনানি করেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ১০ আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, মীর ওসমান বিন নাসিম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং চাকরিচ্যুত সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীনওকে বিবাদী করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে সম্প্রতি অপসারণ করে দুদক। ইতোমধ্যে তিনি চাকরি ফিরে পেতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন।

BBS cable ad

দুদক এর আরও খবর: