সাবেক দুই এমপি ও ডিআইজির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
সাবেক দুই সংসদ সদস্য এবং পুলিশের এক ডিআইজির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
যাদের দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হবে তারা হলেন- নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহীন চাকলাদার এবং এছাড়া পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম জানান, নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার নিজ নামে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদসহ মোট ২২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকার সম্পদ রয়েছে।
অন্যদিকে, যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহীন চাকলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তিনি একজন ঠিকাদার ছিলেন। রাজনৈতিক আধিপত্য কাজে লাগিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার নামে যশোর চিত্রাড় মোড়ে যাবির ইন্টারন্যাশনাল নামে ২২তলা বিশিষ্ট পাঁচ তারকা হোটেল এবং কাঁঠাল তলায় ‘হোয়াইট হাউস’ নামে সুরম্য অট্টালিকা রয়েছে।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম আরো জানান, ডিএমপির সাবেক গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও বর্তমানে বাধ্যতামুলক অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার নিজ নামে ৫০৪/২, রোকেয়া টাওয়ার, ৯৮ বড় মগবাজার, রমনায় কোটি টাকার ফ্ল্যাট, ধামনন্ডি, বারিধারা, গুলশান, সিদ্ধেশ্বরীতে ফ্ল্যাট এবং স্ত্রীর নামে পূর্বাচলে প্লট, পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ নামে-বেনামে কিনেছেন। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে।