শিরোনাম

South east bank ad

বিমানের টিকিট হেরফেরকারীদের চাকরিচ্যুত করার হুঁশিয়ারি

 প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এয়ারলাইন্স

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

টিকিট বুকিং নিয়ে কারসাজির ঘটনায় যদি কেউ জড়িত থাকে তাকে বিমান থেকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন ও অনলাইন টিকিটিং পুনঃচালুকরণ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

বিমানের টিকিটের ‘ফলস বুকিং’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, আমিও বলেছি, যদি এ ধরনের কোনো তথ্য থাকে আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। যদি এ ধরনের কাজে (ফলস বুকিং) কেউ জড়িত থাকে তাদের আমরা বিমানে চাকরি করতে দেবো না। বিমানে ফলস বুকিংয়ের কোনো তথ্য পেলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে ডিসমিস করবো। শুধু ডিসমিসড নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভাড়া নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং করেছি। মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে বিমানের টিকিট কমানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার টাকায় টিকিট দিয়েছি। অথচ একই তারিখের টিকিট এমিরেটস বিক্রি করেছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। বাংলাদেশের শ্রমিক-ভাইয়েরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে যেতে পারে সেজন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।

আয়ারল্যান্ড থেকে ২০০৯ সালে ইজারায় নিয়ে চালানো দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। ১২ বছর চালানোর পর লিজের এতো পুরনো বিমান কেনার জন্য কেন বাধ্য হচ্ছে বিমান? এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বিমানের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত হাই-পাওয়ার (উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন) পর্ষদ।

পরিচালনা পর্ষদ এ দুটি বিমান কেনার বিষয়ে বার বার বসেছে। তারা দেখেছে যে এ বিমানটি ফেরত দিতে হলে যত টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে, তার চেয়ে বরং ক্রয় করা সাশ্রয়ী হবে। পর্ষদ সার্ভে করে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমাদের উপস্থিতিতে বিমানের ক্ষতি হবে এমন কোনো কাজ হবে না।

এবিষয়ে বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বোর্ড সবকিছু বুঝে শুনে, যাচাই-বাছাই করেই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিমানের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, এবিষয় নিয়ে বোর্ড বার বার বসেছে। আমরা এনালাইসিস করেছি। বিমান দুটির টেকনিক্যাল স্ট্রেন্থ যাচাই করেছি। আমরা মনে করেছি যে এ দুটি বিমান রেখে দিলে আমাদের বেশি বেনিফিট (লাভ) হবে। এজন্য আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিমান পর্ষদের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলছে, দুটি বিমান আগের অবস্থায় ফেরত দিতে ৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। অথচ কিনতে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগে। এছাড়াও ফেরত দিয়ে নতুন করে লিজ নিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। পুরাতনটা কিনে নিলে বিরতিহীনভাবে ফ্লাইটও পরিচালনা করা যাবে। সব বিবেচনায় প্লেন রাখা হয়েছে।

এর আগে বিমানের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন ও অনলাইন টিকিটিং পুনঃচালুকরণ নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে টিকিটিং সেবা। গত আগস্ট মাস থেকে বিমানের ওয়েবসাইট থাকলেও সিস্টেম আপগ্রেডের কারণে সেখান থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

নতুন করে করা ওয়েবসাইটে যাত্রীদের সুবিধার্থে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (PSS) ‘সেবর’ (SABRE) এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি সেবা দিচ্ছে বিমান।

BBS cable ad

এয়ারলাইন্স এর আরও খবর: