South east bank ad

কোরবানির পশু পরিবহনে রেলওয়ে ব্যবহারে সাড়া নেই ব্যবসায়ীদের

 প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ক্রয়-বিক্রয়

আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মধ্যে কোরবানির পশু পরিবহনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও। ঢাকা ও চট্টগ্রামে পশু পরিবহনে নির্দিষ্ট করা হয়েছে দেশের ৩১টি স্টেশনের তালিকা ও ভাড়ার হার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ও ঢাকা-খুলনা রুটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুই জোড়া ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। আর মাত্র এক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। পশু পরিবহনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও ব্যবসায়ী বা খামারিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়াই পাচ্ছে না রেলওয়ে। ফলে এখন পর্যন্ত পশুবাহী কোনো ট্রেনই পরিচালনা করতে সক্ষম হয়নি রেলওয়ে। কোরবানির পশু পরিবহনের ভাড়াও এরই মধ্যে নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। গরুবাহী ওয়াগনে কিলোমিটারপ্রতি ২০ টাকা ধরে এ ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ওয়াগনে পরিবহন করা হবে ১৬টি গরু। এ ভাড়ার সঙ্গে টার্মিনাল চার্জ ও অ্যাডিশনাল সারচার্জও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিবহনের সময় পশুর খাবার ও পানির দায়িত্ব পশুর মালিককেই বহন করতে হবে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে একটি গরু পরিবহনে ৪৫০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। ঢাকা ছাড়াও দেশের তিনটি স্টেশন থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কোরবানির পশু পরিবহন করতে চায় রেলওয়ে। এজন্য বগুড়া থেকে ১ হাজার ১৫৪ টাকা, গাইবান্ধা থেকে ১ হাজার ২৩১ ও নাটোর থেকে চট্টগ্রামে একটি গরু পরিবহনে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৮ টাকা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে পশু পরিবহন করেছিল রেলওয়ে। সে সময় দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ঢাকার কমলাপুরে পশু আনা হয়েছিল। এবার পশু পরিবহনের জন্য আগ্রহী ব্যবসায়ী ও খামারিদের রেলওয়ের কন্ট্রোল নম্বর ০১৭১১৬৯১৫২০-এ যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এরই মধ্যে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ক্যাটল স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর একটি চলাচল করবে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে। ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে বেলা ১টায়। যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ঈশ্বরদী, জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৩টায়। পশুবাহী প্রস্তুত রাখা অন্য ট্রেনটি চলাচল করবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছাড়বে বিকাল সাড়ে ৪টায়। আমনূরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, হরিয়ান, উল্লাপাড়া জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। ঈদুল আজহার মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তবে প্রস্তুতি নিয়েও এখন পর্যন্ত পশুবাহী কোনো ট্রেন পরিচালনা করতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা শুরু থেকেই বলে আসছেন, ব্যবসায়ী ও খামারিদের চাহিদার আলোকেই পশুবাহী ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হবে। গতকাল ঢাকার রেল ভবনে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। রেলওয়ের অপারেশন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পশু পরিবহনের চাহিদা কেমন, তা রেলওয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। কারণ ব্যবসায়ীরা প্রাথমিক চাহিদার কথা তাদের কাছেই জানান। অন্যদিকে রেলওয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এখন পর্যন্ত পরিবহনের জন্য ব্যবসায়ীদের চাহিদা কেমন, তা জানাতে পারেননি। প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রেলপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ব্যবসায়ীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পশু পরিবহনের তারিখ ঠিক করা হবে।
BBS cable ad