মশা খুঁজতে শনিবার থেকে ড্রোন ব্যবহার করবে ডিএনসিসি
নগরীর প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা বেলকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন। অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ। প্রতিটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা আছে তা অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে খুঁজে বের করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী শনিবার থেকে ১০দিন ব্যাপী চিরুনি অভিযান চালাবে সংস্থাটি। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উত্তরা ৪ নং সেক্টরে ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস সনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্র্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ২ থেকে ১১ জুলাই প্রতিটি বাসা বাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান চালাবো। সিটি করপোরেশন ড্রোনের ছবি দেখে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার তথ্যভান্ডার তৈরি করবে। যা আগামী বছরে মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হাসপাতালসহ ডেঙ্গু বিষয়ে সঠিক তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনুরোধ করবো আপনাদের সঠিক ঠিকানা দিন। আমরা আপনাদের জরিমানা করবো না। আমরা শুধু ওই বাসায় গিয়ে আশেপাশে মশার কীটনাশক ছিটিয়ে দেব। যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে আমরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে পারবো না।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা নোভালিউরন নামে ট্যাবলেট জলাশয় ও বাসাবাড়ির পানির মিটারে ব্যবহার করছি যা তিনমাস পর্যন্ত পানিতে মশার জম্ম নিয়ন্ত্রণ করে। মশার উৎস সনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র উত্তরা সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি মাঠে সমিতির উদ্যোগে স্থাপিত মশা ধরার মেশিনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এটি মশা নিধনের আধুনিক মেশিন। মেশিনটি একাধারে এডিস ও কিউলেক্স মশা ক্যাপচার করতে পারে। এই মেশিনটি চতুর্দিকে ২৪৫ ফুট বা ৮০ মিটার ব্যাপী কার্যকরী। এটি কিস্তা নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক কতটি মশা ধরা পড়ল তা যানা যায়। মেশিনটি অন/অফ করা যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে শব্দ দূষণমুক্ত! পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা ৪নং সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ৬টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।