ডিএনসিসির ৮ পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন আটটি কোরবানির পশুর হাটে এবার ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল ডিএনসিসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। স্মার্ট হাটের মধ্যে রয়েছে উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টরসংলগ্ন বউবাজার, ভাটারা (সাইদনগর), কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর বছিলা, গাবতলী, মিরপুর সেকশন-৬ ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ।
ডিএনসিসির স্মার্ট হাট প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ স্লোগানে ডিএনসিসির আটটি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে। এ হাটগুলোই হবে স্মার্ট হাট। আমরা ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে সব লেনদেন হবে স্মার্টলি। তেমনি কোরবানির পশুর হাটে আমরা ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারব। এরই মধ্যে ১০ হাজার খামারির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এ লেনদেনের জন্য। সেক্ষেত্রে টাকা নিয়ে আমাদের আর হাটে যেতে হবে না, গরুর মালিকরাও টাকা নিয়ে বাড়ির ফেরার সময় সমস্যায় পড়বেন না। কারণ লেনদেন হবে ডিজিটালি।’
তিনি জানান, কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন চালুকরণ ও প্রান্তিক পশু বিক্রেতাদের ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগের পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করে, যেখানে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এবার আমাদের লেনদেন টার্গেট দেড়শত কোটি টাকা। ডিএনসিসি এরই মধ্যে অস্থায়ী আটটি কোরবানির পশুর হাটের আয়োজন করেছে। এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে আরো একটি হাট চূড়ান্ত হবে। অর্থাৎ ডিএনসিসির নয়টি অস্থায়ী হাট ও গাবতলীর স্থায়ী হাট মোট ১০টি হাটের বাইরে আর কোনো হাট ডিএনসিসি এলাকায় থাকবে না।