মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য-খুলনার গর্ব: মেয়র
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য ও খুলনার গর্ব। খুলনা অঞ্চল সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে মধুর প্রাপ্যতা বেশি। এ অঞ্চল থেকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মানসম্মত মধু রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিএসটিআইসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধুর আদর্শমান অর্জন সাপেক্ষে খুলনাকে ‘মধু নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। মধুর বহুমাত্রিক গুণের কারণে ইসলাম ধর্মে মধু খাওয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
মৌয়াল, চাষি, বণিক, গবেষক ও ভোক্তার জাতীয় জোটের উদ্যোগে মৌমাছি-মধু তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর খুলনা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শর্করা ছাড়াও মধুতে আছে কয়েক প্রকার এনজাইম যা প্রাণিকোষসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। মধুতে ডায়াস্টেড ইনভারটেজ, স্যাকারেজ, ক্যাটালেজ, পারঅক্সিডেজ, লাইপেজের মতো এনজাইম থাকে। অন্য খাদ্যের তুলনায় মধু স্বাস্থ্যকর।
মৌয়াল, চাষি, বণিক, গবেষক ও ভোক্তার জাতীয় জোট বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার সদস্যের একটি পরিবার। জোটটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মৌমাছি ও মধু বিষয়ক সচেতনতা, সমাজে প্রচলিত মধু বিষয়ক ভুল ধারণা দূরীকরণে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে।
মৌমাছি ও মধু জোটের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মঈনুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক স্বপন, খুলনা বিএসটিআইয়ের পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজা, সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আতাউর রহমান, খুলনা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড প্রমুখ।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ব্যানার্জি বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ড. প্রভাশ ব্যানার্জি।
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় চার শতাধিক মৌচাষি, বণিক, গবেষক ও মৌয়ালরা অংশ নেন।