জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু আপস করেননি: মেয়র লিটন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতীয় চার নেতা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন কিন্তু তারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
এর আগে, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে নগরীতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, মানবভোজ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সমিতি দিবসটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে পালন করে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জেল হত্যা দিবসে যাদের নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাদের একজন হলেন আমার বাবা এএইচএম কামারুজ্জামান। তিনি অতি সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। কর্মীদের সঙ্গে কবিতার ছন্দের মতো করে কথা বলতেন। তার জনপ্রিয়তার কথা সবারই জানা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমি বাবাকে হারিয়েছি। এটা যে কত কষ্টের সেটা আমি বলে বুঝাতে পারব না।
প্রধান অতিথি জাতীয় চার নেতার স্মৃতিচারণ করে বলেন, জাতীয় চার নেতা চারিত্রিক দিক থেকে এত মিল ছিল যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুশি হয়ে সারাদেশের মানুষের কাছে তা প্রচার করতেন। দেশের মানুষ তাদের কথায় আশা রাখতেন, স্বপ্ন দেখতেন। তারা সবসময় বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন আপসহীন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ এত রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হয়েছে। দেশের স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমহানসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। এটা মেনে নেয়া যায় না। হত্যাকারীরা জানতো জাতীয় চার নেতা বেঁচে থাকলে তারা সুবিধা করতে পারবে না, তাই তারা তাদের হত্যা করে। এটা বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় দিন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, রাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম।