প্রিয়শপ কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড জিতলো মাস্টারকার্ড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস প্রিয়শপ এবং লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি দেশের প্রথম কো-ব্র্যান্ডেড সিএমএসএমই ক্রেডিট কার্ডের জন্য ইনোভেশন বিভাগে যৌথভাবে মাস্টারকার্ড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অর্জন করেছে। এবার ১৮টি ক্যাটাগরিতে মোট ২৬টি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের এমএসএমইদের জন্য এই প্রথম ক্রেডিট কার্ডের ফিনটেক সলিউশনটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, এটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সুদের চাপ থেকে রক্ষা করে ক্রয় বিক্রয় সক্ষমতা বাড়াতে এবং ডিজিটাল স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে। এই ক্রেডিট কার্ড বাংলাদেশের বি-টু-বি খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং, পেমেন্ট এবং ফিনটেক খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন তৃষিতা মওলা। এছাড়াও ছিলেন দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।
প্রিয়শপ, মাস্টারকার্ড এবং লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি তিনটি শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম দেশের সামগ্রিক আর্থিক সমাধান দিতে একত্রিত হয়ে কাজ করছে। তারা শুধুমাত্র ঐক্যবদ্ধ হিসেবেই কাজ করেনি, বরং বাংলাদেশে খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক উন্নয়নেও কাজ করে থাকে।
প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আশিকুল আলম খাঁন এই অর্জনে বলেন, "আমাদের সমস্ত অংশীদারদের জন্য একে অপরের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ; কারণ আমরা একটি উদ্দেশ্যের উপর ফোকাস করেছি—আর্থিক সমাধান সহজ করা এবং রিটেইল শপগুলোর কার্যক্রম সহজতর করা। বাংলাদেশে ফিনটেক সমাধানের পথপ্রদর্শন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, "মাস্টারকার্ড বাংলাদেশে ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, ফিনটেক এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পেরে গর্বিত। এসব প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী একটি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম গঠনে আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।"