মুনাফা কমেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের
ওষুধ খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা কমেছে।
ওষুধ খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা কমেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৯২ পয়সা। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৮২ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫২ টাকা ৫৮ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।
২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৫। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৪২ দশমিক ৩৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এ বছরের ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার ইস্যুর জন্য এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও সাবক্রিপশন সম্পন্ন হয়। ২০২২ সালের ১০-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণে বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ইআইরা। বিএসইসির শর্তানুসারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ ছাড় বা ২০ টাকা এ দুয়ের মধ্যে যেটি কম হবে সে মূল্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
এর আগে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন গত বছরের ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল। ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩৭তম সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না বলে শর্তারোপ করেছে বিএসইসি।