একমি ল্যাবরেটরিজের ২২ লাখ শেয়ার বিক্রির নির্দেশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ২২ লাখ শেয়ার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ২২ লাখ শেয়ার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) সৃষ্ট ঘাটতি মেটানোর জন্য সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ও চেয়ারম্যান পারভীন আখতার খানমকে একমি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ২২ লাখ শেয়ার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবরেটরিজের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৭০০। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ১৩ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৭৩ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬২ টাকা ৬০ ও ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১০ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকা ৩৯ পয়সায়।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে ২৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।
২০২২-২৩ হিসাব বছরে ৩৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩০জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা ৯ পয়সায়। ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়েছে দি একমি ল্যাবরেটরিজ। ২০২০-২১ হিসাব বছরে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ।
আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০১৯-২০ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় একমি ল্যাবরেটরিজ। আগের তিন হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএলএল)।