নতুন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চালু করবে এসিআই

ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) পিএলসি একটি নতুন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির ২২৪তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, নতুন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটির নাম হবে ‘এসিআই বায়োসায়েন্সেস লিমিটেড’। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবে এসিআই। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) এসিআইয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ১৮ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১৩ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ১০ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে এসিআইয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ টাকা ২৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ১৭ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে এসিআইয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ৬৭ পয়সায়।
এসিআইয়ের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল)।
১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআইয়ের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৭৮ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৩। এর ৪৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ১৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।