মাদারীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন
এসএম আরাফাত হাসান (মাদারীপুর):
মাদারীপুরে লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা।
প্রশাসনের যৌথ অভিযান এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ হাট-বাজারেও চলছে। ৪ উপজেলায় শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৬ মামলায় ৭৯ হাজার ৭‘শ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমের ফলে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। মাদারীপুরের ৪ উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে সহযোগিতা করছে।
লকডাউনের ফলে জেলার ঔষুধের দোকান, ফলের দোকান, কাঁচা বাজার খোলা রয়েছে। শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ রয়েছে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়নি।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খায়রুল আমল সুমন ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রিয়াদুল ইসলাম জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করেছেন।এছাড়াও মাদারীপুর পৌরসভার কতৃপক্ষ শহরের সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ও লকডাউন সম্পর্কে সচেতনতা করেন।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা জেলা পুলিশসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার সদস্যরা কাজ করছে। আমাদের মাদারীপুর অন্যান্য জেলা থেকে লকডাউনে পরিস্থিতি অনেক ভাল।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, সাধারণ জনগণ এবারের লকডাউন মেনে চলছে। জনগণ কিন্তু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। লকডাউন কার্যকর করতে আমাদের ১৬টি ভ্রাম্যমান আদালতের টিম কাজ করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যরা।