বগুড়ায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন যেমন সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার গণটিকা দান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা অতি শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
বগুড়ায় সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে জেলা প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গতকাল বুধবার ২৮ জুলাই ২০২১ইং তারিখ সমগ্র বগুড়া জেলায় সর্বমোট ২৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ২০৮টি মামলায় ২০৮ জনকে আইন অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মোট ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৭০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
উল্লেখ্য, (কারাদণ্ড -০১) গাবতলী উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর ৩৬(১)এ সারনীর ১৬ ধারায় মো. নাসির প্রাং (ঠিকানা: গোড়াদহ, গাবতলি, বগুড়া) -কে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০০টাকা অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। (কারাদণ্ড -০২) গাবতলী উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর ৩৬(১)এ সারনীর ২১ ধারায় মো. কাওছার আহমেদ আপন (পিতা: মৃত রবিউল ইসলাম )-কে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০০ টাকা অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এসময়, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিনায় সহায়তা করেন।
এছাড়া বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। সবাইকে ঘরে অবস্থান করে নিজে সুস্থ থাকি এবং অন্যকে সুস্থ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।