বরিশালে দুটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার
মেয়ের জন্য দুধ কিনতে আর্টিস্ট বাবা রিকশা নিয়ে রাস্তায়’ শিরোনামে ভিডিওসহ একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সংবাদটি বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর দৃষ্টিগোচর হলে শুক্রবার জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর পক্ষ থেকে শিশু মেয়েটির জন্য দুধ কিনতে না পারা সেই আর্টিস্ট বাবাকে সহায়তা পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ আর্টিস্ট মাহবুব আলমের বাসায় যান। তিনি জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর পক্ষ থেকে মাহবুব আলমের স্ত্রী ঝুমুর হাওলাদারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার ও শিশুর দুধ কেনার জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ‘মেয়ের জন্য দুধ কিনতে আর্টিস্ট বাবা রিকশা নিয়ে রাস্তায়’ শিরোনামে ভিডিওসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। সংবাদটি পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এদিকে বাবার অসুস্থতায় ভ্যানে করে কলা বিক্রি করতে বেড়িয়ে পড়া সেই শিশু আল রাফির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জরুরি খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে রাফির পরিবারের হাতে। এর আগে রাফির কষ্টের কথা প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। বুধবার সন্ধ্যায় ‘আব্বার জ্বর, কলাগুলা বেচতে না পারলে খামু কি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেটির খোঁজখবর নিয়ে শুক্রবার চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, চিনি, লবণ, ফলমূলসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী নগরীর আলেকান্দা এলাকার বাসায় গিয়ে রাফির পরিবারের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ।
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, রাফির পরিবারের দুর্দশার চিত্র সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নজরে পড়ে। তিনি পরিবারটিকে সহায়তার নির্দেশনা দেন। শুক্রবার জরুরি সহায়তার অংশ হিসেবে তাকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাফির পড়াশোনার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী রাফির বাবা মোজাম্মেল জলিল ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করেন। কিন্তু জ্বরের কারণে কয়েকদিন ধরে তিনি বাড়ির বাইরে বের হতে পারছিলেন না। এদিকে ঘরে খাবারও শেষ। এতে সংকটে পড়ে মোজাম্মেল জলিলের পুরো পরিবার। একপর্যায়ে বাবার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নামে ছোট্ট শিশু রাফি। কিন্তু লকডাউন আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বাইরে লোকজন কম থাকায় বিপাকে পড়তে হয় তাকে।