১৫ বছর ধরে শেকলবন্দি রবিউলের পাশে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন
ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পশ্চিম চরবর্ণি গ্রামের শেকলবন্দি এ তরুণের নাম মো. রবিউল মোল্লা (৩৫)। তিনি গ্রামের ভ্যানচালক মো. নুরুল মোল্লার ৩ সন্তানের মধ্যে সবার বড়।
গত শুক্রবার ৩০ জুলাই এ তরুণের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিত্যক্ত চৌচালা একটি টিনের ঘরে মাজায় তালাসহ শেকল লাগানো প্রায় ছয় ফুট গভীর মাটির গর্তে রবিউলকে। এখানেই আলো-বাতাস ছাড়া দিন-রাত কাটে রবিউলের। আর শেকলেবন্দি হয়ে থাকা রবিউলের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
বোয়ালমারীর ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, “খবর পাওয়ার পরে তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছে প্রশাসন। পরিবারটি হতদরিদ্র। ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করার মত অবস্থা তাদের নেই।
“সেই ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তার বাবার হাতে চিকিৎসা বাবদ প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫ হাজার টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে।”
উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পশ্চিম চরবর্ণি গ্রামের ৩৫ বছরের এই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, ৬-৭ বছর আগে একবার জ্বর হয় তার। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। আস্তে আস্তে তার হাত-পা শুকিয়ে যেতে থাকে। পরিবার সাধ্যমত ডাক্তার-কবিরাজ দেখায়। তবু সুস্থ হয়নি। ছেড়ে দিলে এখানে-ওখানে চলে যায়। হারিয়ে যেতে পারে বলে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
যে ঘরে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছিল সেই ঘরের মাটির মেঝে হাত দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে রবিউল একটা গর্ত করে নিয়েছে। সেখানেই থাকেন তিনি।
এর আগে বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের তরুণ সমাজ সেবক মো. হেদায়েতুর রাফি সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিউলকে নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন।