বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সফল সিটি করপোরেশন
এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় শতভাগই সফল বলে দাবি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নগরবাসীর সদিচ্ছার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তারা। তবে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির নির্দেশনাটি ‘প্রতীকী’ বলছেন তারা।
এ বছর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীতে মোট ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয় পশু কোরবানির জন্য। আর এ সব স্থান থেকে সিটি করপোরেশন দুটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণসহ অন্য পরিচ্ছন্নতার কাজ করবে বলেও জানানো হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৮৫টি স্থানকে পশু কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। বাধ্যতামূলক না হলেও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি সিটি করপোরেশনের।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এ বছর আমরা কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় শতভাগই সফল দাবি করতে পারি। কারণ যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকা বা দুর্গন্ধের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর প্রথমবারের মতো দুই সিটি করপোরেশন নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির উদ্যোগ নেয়। তবে এটি বাধ্যতামূলক ছিল না। প্রতীকী একটা উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। আমাদের সে চেষ্টা এবার সফলও হয়েছে।’
রাকিব উদ্দিন বলেন, ‘রাজধানীতে এবার প্রায় দুই লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। পুরোটায় যে সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট স্থানে হয়েছে তা নয়। তবে এবার যারা নিজের মতো করে কোরবানি করেছেন তারাও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের কাছে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাগ সরবরাহ করা সম্ভব না হলেও, অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে ব্যাগ কিনে বর্জ্য সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনের গাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।’