বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব-২ : আওয়ামী লীগের ইশতেহারে সমাজতন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুর ভাবনা
মোস্তাফা জব্বার:
উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা, দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাট, কালোবাজারি, চোরাকারবারি বন্ধ করে বাংলাদেশকে একটি স্বাবলম্বী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময়কালে আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্রের কথা তাদের ম্যানিফ্যাস্টোতে যুক্ত করে। ৪ জুন ইডেন হোটেলে আওয়ামী লিগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে সম্মেলনে শেখ মুজিবকে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এইচএম কামারুজ্জামানকে সম্পাদক করে সিরাজুল আলম খান, মওলানা আবদুর রহমান তর্কবাগীশসহ পঁচিশ জনকে নিয়ে এ সম্মেলনের কাউন্সিল গঠিত হয়।
সবাই জানেন যে ষাটের দশকে বিশেষত বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমাজতন্ত্র বা বামধারার রাজনীতির ব্যাপক প্রভাব বিস্তৃত হতে থাকে। বিশেষত তরুণ সমাজের কাছে সমাজতন্ত্র এক স্বপ্নের জগত তৈরি করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগের গায়ে লেবেল আটা থাকে ধনতন্ত্রের। সেই সময়কার বাম রাজনীতিকরা প্রকাশ্যেই আওয়ামী ও বঙ্গবন্ধুকে মার্কিনপন্থী বলে আখ্যায়িত করত। তবে আওয়ামী লীগের ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রলীগে সমাজতন্ত্রের জোয়ার বইছিল। বলা যায় সমাজতন্ত্রের ধারাটিই ছাত্রলীগে অত্যন্ত প্রবল ছিল। তারা ৭০-এর নির্বাচনেও স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্লোগান দিয়েছে। ৭০ সালে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে সেই সমাজতন্ত্রকে দলীয় স্বীকৃতি প্রদান করায় বস্তুত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাইলফলক রচিত হয়।
পরবর্তীকালে তাজউদ্দীন সরকারও ঘোষণা করেন যে, তাদের সরকার বিপ্লবী সরকার। বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু তাঁর বিভিন্ন ভাষণে দ্বিতীয় বিপ্লব নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা তুলেন ধরেন, ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেন শোষণমুক্ত দেশ তথা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাই তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য। দেশে কি পন্থায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাসী। তাহা ছাড়া, বিভিন্ন দেশের অবস্থা বিভিন্ন রকম। বাংলাদেশে বাংলাদেশের অবস্থা অনুযায়ী পন্থা নির্ধারিত হইবে।’ ‘অতিশয় যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা বিভাগ নয়া অর্থনীতির ব্যাপক খসড়া প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করিতেছে। এই ধরনের খসড়া পরিকল্পনা কৃষি, শিল্প ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন সাধন করিবে।’ ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানের ভাষণে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, ‘আমাদের দুদেশের মৈত্রী বন্ধন চিরস্থায়ী। কেননা, আমরা উভয়েই গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র- এ চারটি মূলস্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছি।’ ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী তোমার জন্য এতকিছু করছে কেন? ব্যাপার কী?’
আমার উত্তর অনেক সহজ :
আমাদের মিল আদর্শের মিল, নীতির মিল। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, আমিও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, আমিও সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন। আমরা উভয়েই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী।’ ‘গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র’ অনুযায়ী দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বন্ধবন্ধু। ৪ মার্চ লেলিনগ্রাদের (তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া) এক সংবর্ধনা সভায় বঙ্গবন্ধু আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তার পঙ্গু অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করে নিতে সমর্থ হবে।’ প্রথম স্বাধীনতা দিবস বার্ষিকী (২৬ মার্চ ১৯৭২) উপলক্ষে শেখ মুজিব বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, পুরনো কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে শোষণ ও অবিচারমুক্ত নতুন সমাজ গড়তে হবে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ’ ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের মূলনীতি। ১৯৭২ সালের মে দিবসে জাতির উদ্দেশে দেয়া বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তাঁর সরকার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির গোড়াপত্তন করেছেন। পুরনো পুঁজিবাদী পদ্ধতির স্থলে সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েমের পথে ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা জাতীয়করণকে একটা সুস্পষ্ট দুঃসাহসিক পদক্ষেপ হিসেবেও সে ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি। আরও বলেন, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি পুরোপুরি গড়ে তোলার কাজে এই নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েমে শ্রমিকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে, তাদেরকে বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে। সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য সরকারী কর্মচারীদের দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলেন তিনি, সরকারী প্রশাসন যন্ত্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানো দরকার- একথাও বলেছিলেন সেদিন।
মওদুদ আহমদ তার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ বইয়ের ৬১ নং পৃষ্ঠাতেও লিখেছেন, শেখ মুজিব সরকারের সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচীর প্রধান পদক্ষেপ ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ শিল্পের জাতীয়করণ। ১৯৭২ সালের ৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সমাজতন্ত্রের বিরোধী ঘাঁটিকে ধ্বংস করে দিয়ে সমাজতন্ত্রের পথে আগাতে হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর এত তাড়াতাড়ি পৃথিবীর কোন দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নে বিপ্লবের পর স্বাভাবিক অবস্থা আসতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল’ এছাড়া তিনি সেদিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে সমাজতন্ত্রের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রমিকদের প্রতি।
১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চাই। আমরা নতুন প্রচেষ্টা নিয়েছি গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আমরা স্বাধীনতা দিচ্ছি। দুনিয়ায় দেখা গেছে, সমাজতন্ত্র কায়েম করতে গিয়ে অনেক সময় বাধা দূর করবার জন্য রূঢ় হতে হয়েছে। সেটা আমি করতে চাই না। এজন্য যে, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা, আমি চেষ্টা করে দেখছি।’
বঙ্গবন্ধু যে সমাজতন্ত্রের কথা বলেছেন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেই সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাই চেয়েছিল এই বাংলার জনগণ। জনগণের সেই আকাক্সক্ষার ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ১৯৭০ সালে একচেটিয়াভাবে জয়লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ। কৃষক শ্রমিকরা অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নে বিভোর হয়ে জমিদার জোতদারদের ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টকে জয়ী করেছিল। এমন কি স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে মানুষ এককভাবে ভোট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু যতবার নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন, জনগণ ততবার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর আস্থা রেখেছিল বলেই শোষণ ও মুক্তির জন্য বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেই নতুন রাষ্ট্রের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর, ১৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শোষণমুক্ত দেশ, তথা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাসী। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের অবস্থা বিভিন্ন রকম। বাংলাদেশকে বাংলাদেশের অবস্থা অনুযায়ী পন্থা গ্রহণ করতে হবে।’ এরপর থেকে প্রতিটি জনসভায়, সংসদে, বৈঠকে সবখানেই বাংলাদেশ স্টাইলের সমাজতন্ত্র’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেন বঙ্গবন্ধু। গণতান্ত্রিক সরকার কাঠামোতে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এই প্রক্রিয়াকে বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘শোষিতের গণতন্ত্র’।
পুরাতন সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে দেশের বাস্তব প্রয়োজনে নতুন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহীতে এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র ছাড়া বাংলার মানুষ বাঁচতে পারবে না, সেজন্য সমাজতন্ত্র কায়েম করার উদ্যোগ নিয়েছি। কোন লোক এক শ’ বিঘার ওপর জমি রাখতে পারবে না। উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীনদের মাঝে বিলি করে দেয়া হবে।’
মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য স্বাধীনতার পর তিন বছরেরও বেশি সময় বঙ্গবন্ধু আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব পন্থা নিয়ে ভালমতো বলেছেন নতুন শাসনতন্ত্র (সংবিধান) পাসের দিন ১৯৭২ সালের ৪ নবেম্বর, গণপরিষদের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, আমাদের সমাজতন্ত্রের মূলকথা হলো শোষণহীন সমাজ। সমাজতন্ত্র আমরা দুনিয়া থেকে হাওলাত করে আনতে চাই না।… বিদেশ থেকে হাওলাত করে এনে কোনদিন সমাজতন্ত্র হয় না। তা যারা করেছেন, তারা কোনদিন সমাজতন্ত্র করতে পারেননি। কারণ-লাইন, কমা, সেমিকোলন পড়ে সমাজতন্ত্র হয় না, আন্দোলন হয় না। এক এক দেশ, এক এক পন্থায় সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলছে। সেই দেশের কী ক্লাইমেট, কী ধরনের অবস্থা, কী ধরনের মনোভাব, কী ধরনের আর্থিক অবস্থা, দেশের মানুষের কাস্টম, মনোভাব সব কিছু বিবেচনা করে স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যেতে হয় সমাজতন্ত্রের দিকে… রাশিয়া যে পন্থা অবলম্বন করেছে, চীন তা করে নাই, সে অন্যদিকে চলেছে। রাশিয়ার পাশে বাস করেও যুগোস্লোভিয়া, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া তাদের দেশের এনভায়রনমেন্ট নিয়ে, তাদের দেশের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে, সমাজতন্ত্রে অন্য পথে এসেছে।
১৫ মার্চ ১৯৭৩ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন ধরনের গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন, যে যে শিক্ষায় সত্যিকার মানুষ গড়ার মাধ্যমে জাতিকে নতুন করে সংগঠিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে পারি।’ বঙ্গবন্ধুর সমগ্র আলোচনা বিশ্লেষণ করে এ কথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর বাকশালের চিন্তাভাবনা হঠাৎ করে আবির্ভাব হয়নি, বরং ১৯৭০ থেকেই সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও এর কর্মপদ্ধতি বঙ্গবন্ধুর মাথায় ছিল। এবং সেই অনুযায়ী তিনি বারবার বলেছেন ও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে নানান কাহিনী প্রচলিত থাকলেও কেউ ভুলেও বলে না যে, ভয়ঙ্কর সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের ফলেই ছিল এই দুর্ভিক্ষ। তিনি দুর্ভিক্ষের দায়ভার নিয়ে কোন ভণিতা করেননি। সকল ব্যর্থতার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। জাতীয় সংসদে দুর্ভিক্ষে প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন।
লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক