দুর্যোগকালে ঈদ হয়ে উঠুক মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত
মোঃ ইউছুফ হোসেন
করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সিয়াম সাধনার মাস শেষে ঈদ নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। তবে করোনার প্রভাবে পরপর দুই বছর আমাদের জীবনে ঈদের আনন্দ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বহু মানুষ রাজধানী ও জনবহুল এলাকা থেকে গ্রামে গেছেন, তাদের সবারই একটু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, যা খুবই দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। আমরা কেউ জানি না, কে কীভাবে ওই ধরণটি বহন করছেন কিনা। ওই ভারতীয় ধরণের করোনা যাতে দেশের সর্বস্তরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যাতে করে ভারতের মতো কোনো মর্মান্তিক পরিস্থিতি তৈরি না হয়। আমাদের দেশে ঈদুল ফিতরের আগে–পরে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নয়তো সামান্যতম অবহেলা আমাদের সবার জন্য অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবারও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে মসজিদে মসজিদে। মসজিদে গিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা, কোলাকুলি–করমর্দন ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে এসব দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। মসজিদগুলোর মাইকে এ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রচার করা উচিত।
করোনার ছোবলে বহু মানুষ তাদের কর্ম হারিয়েছেন, জীবনের তাগিদে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছেন, এছাড়া বহু পরিবার রোগশোকে কাতর আছেন। এই অবস্থায় সবার উচিত পরিবার, সমাজ ও আঞ্চলিকতা ভেদে সাধ্যমতো দু:স্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। সবার সহযোগিতা ও সহমর্মীতায় ঈদ হয়ে উঠুক প্রকৃত ত্যাগ ও আনন্দের উপলক্ষ্য। সবাইকে ঈদ মোবারক।
(মোঃ ইউছুফ হোসেন, সম্পাদক, বিডিফিন্যান্সিয়াল নিউজ২৪.কম)