সিএমএসএমই খাতে প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন জরুরী: এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
মহামারীকালীন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সিএমএসএমই খাতে দ্রুততার সাথে প্রণোদনা প্যাকেজের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরী।
“বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা: সমস্যা ও সম্ভাবনা” বিষয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এমন মত প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন।
ভারতে কোভিড প্রণোদনার ৩৮%, থাইল্যান্ডে ৩৩%, মালয়েশিয়ায় ২৪% অর্থ সিএসএমই খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হার মাত্র ২২%। রপ্তানি ও বৃহৎ খাতে প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন সন্তোষজনক হলেও, সিএমএসএমই খাতে বাস্তবায়ন হার মাত্র ৭৭%। এমন পরিস্থিতিতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে, প্রণোদনা ঋণের দ্রুত ছাড় জরুরি হয়ে পড়েছে। এসএমই খাতের জন্য “ডেডিকেটেড ডেস্ক” চালু, এসএমই সার্ভিস সেন্টার, নতুন ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রবর্তনসহ বাংলাদেশে ব্যাংক বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, কোন কোন ব্যাংকে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনীহা দেখা যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ও জামানতবিহীন ঋন সুবিধা চালু ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম সহজ ও সক্রিয় করা অত্যাবশ্যক।
এসএমই খাতের বিকাশে টার্ম লোনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ও গ্রেস পিরিয়ড দুই বছর করা প্রয়োজন। সর্বোপরি, টেকসই এলডিসি উত্তরণ ও এসডিজি অর্জনে ব্যাংকিং খাতের সক্রিয় সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।