South east bank ad

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাল এফবিসিসিআই

 প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এফবিসিসিআই

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আমেরিকান বাংলাদেশি বিজনেস অ্যালায়েন্স আয়োজিত বার্ষিক বিজনেস সামিটে এ আহ্বান জানানো হয়।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই দেশের ব্যবসায়িক যোগাযোগকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমেরিকান বাংলাদেশি বিজনেস অ্যালায়েন্সের (এবিবিএ) সভাপতি একেএম ফজলুল হক। এবিবিএর আয়োজিত অ্যানুয়াল বিজনেস সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, সালাউদ্দিন আলমগীর, এমএ রাজ্জাক খান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আমজাদ হোসেন, মো. আনোয়ার সাদাত সরকার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), রেজাউল করিম রেজনু, বজলুর রহমান, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মো. নাসের, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, আবুল কাশেম খান প্রমুখ।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সিডিপি প্রদত্ত এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা সন্তোষজনকভাবে অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। ডিজিটালাইজেশন, শিল্পায়ন, ট্যুরিজম ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন বিশ্বের নতুন আশা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশ। এমনকি করোনা মহামারি চলাকালে ২০২০-২১ অর্থবছরে আমরা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ এবং পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে দেশের রফতানি, সিএমএসএমই, কৃষিসহ অন্যান্য খাতকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে এসএমই খাতের উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে খাতভিত্তিক ক্লাস্টার জোন এবং হাইটেক পার্ক। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষম ও সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব হবে। ফলে সরকারের সব উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে শিল্প খাতের তথা এসএমই খাতে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এবং বহুমুখী স্বার্থ উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। আমাদের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যনিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের অবদান রয়েছে। এ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে সভা, সেমিনার ও বাণিজ্য মেলা এবং বিজনেস নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য একটি প্লাটফর্ম চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধি বিনিময় এবং যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। খাতভিত্তিক সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে এফবিসিসিআই ও আমেরিকান বাংলাদেশি বিজনেস অ্যালায়েন্স যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

BBS cable ad

এফবিসিসিআই এর আরও খবর: