নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও বিকেএমইএ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কাছে চাঁদা দাবি ও আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেম্বারের সভাপতি মাসুদ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কাছে ১০ লাখ টাকা ও বিকেএমইএ'র কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে জানান মাসুদ। এর মধ্যে চেম্বার তিন লক্ষ টাকা এবং বিকেএমইএ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েকদিন কীভাবে চাঁদাবাজি হয়েছে। কীভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার চেম্বারও আক্রান্ত। দশ লাখ টাকার দাবি ছিল, তিন লাখ টাকায় মিটিয়েছি। সাত লক্ষ টাকার জন্য চাপ আছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিকেএমইএ ও পাঁচ লক্ষ চাঁদা দিয়েছে বাধ্য হয়ে।
তিনি আরও বলেন, এ চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি নাম উল্লেখ করলাম না, সময় দিলাম। প্রয়োজনে শহীদ মিনারে গিয়ে এদের লাল কার্ড দেখাবো, প্রয়োজনে শহর থেকে বের করে দেব। দলীয় প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দেব।
মাসুদ বলেন, কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করা যাবে না, দখল করা যাবে না। তারা বহু চেষ্টা করছে কিন্তু স্থানীয় নেতারা মঞ্চে উঠে বলছে কোনোভাবে চাঁদা দেবেন না। আমাদের বলবেন আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব রাজনৈতিক বক্তব্য শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমেই ফোন করে বলে ভাই জুটটা দিলেন না? এমন শত শত ফোন আমি পেয়েছি।
তিনি বলেন, গত একমাস ধরে চাঁদাবাজি, দখল, মামলা চলছে। আমরা ব্যাবসায়ীরা কখনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমরা কখনও কখনও পরিস্থিতির শিকার। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনতার পর থেকে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে থাকি কিন্তু বলতে পারি না। দিন শেষে পরিবর্তন হলে আমাদের ওপর দিয়েই ঝড়-ঝাপটা যায়।