ব্রাজিল থেকে আসছে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি

ব্রাজিল থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভা-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, জেএমআই এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্টের সহযোগিতায় চিনি আমদানি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা টিসিবি। আমদানির ক্রয় সম্পর্কিত তথ্যে বলা হয়, প্রতি টন চিনির দাম ধরা হয়েছে ৫২৪ ডলার। মোট দাম পড়বে ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৬২৫ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণী) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১০টি লটে ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৮ কপি বইয়ের জন্য খরচ হবে ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪০ টাকা।
সচিব সাঈদ মাহবুব আরো জানান, গতকাল মোট ১৩টি প্রস্তাব প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আরো আছে, ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও এমওপি (পটাশ) সার আমদানি ও ক্রয়ের প্রস্তাব ও এ-সংক্রান্ত মোট তিনটি পৃথক ক্রয় প্রস্তাব।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে দশম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২০১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯২১ টাকা। এক্ষেত্রে সারের দাম কিছুটা কমেছে। এর আগেরবার প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছিল ৬২৬ ডলার। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২৪ ডলারে।
এছাড়া বিসিআইসির মাধ্যমে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার পৃথক আরো একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৩৭ টাকা। অতিরিক্ত সচিব জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) জন্য এক লাখ টন এমওপি (পটাশ) সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯০৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পের প্যাকেজ-৫, লট-২-এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদিত হয়। ৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ পায় ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার প্রাইভেট লিমিটেড ও ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ লিমিটেড।
ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক রুরাল কানেক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট নামের পরামর্শক সেবার জন্য যৌথভাবে বিইটিএস কনসাল্টিং সার্ভিসেস লিমিটেড ও সায়ানটার্চ সলিউশন লিমিটেডকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে খরচ হবে ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৩ টাকা।
এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় অন্য এক প্রস্তাবে ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট নামের পরামর্শক সেবার জন্য যৌথভাবে এপটিসা সার্ভিসেস ডি ইঞ্জিনিয়ার ও বিইটিএস কনসাল্টিং সার্ভিসেস লিমিটেডকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সরকারের খরচ হবে ৪৮ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ২৭৯ টাকা।