শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়া থেকে পাটজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে

 প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

বগুড়া থেকে পাটজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বগুড়া থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে রাইস ব্র্যান অয়েল ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত পানির পাম্পের রফতানি কমেছে। এসব পণ্য মূলত ভারত ও শ্রীলংকায় রফতানি করা হয়েছে। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) বলছে, রফতানি বাড়াতে তারা কাজ করছেন।

বিসিসিআই কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বগুড়া থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়মিতভাবে ভারতে রফতানি করা হয়। এর মধ্যে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি যন্ত্রাংশ এবং রাইস ব্র্যান অয়েল উল্লেখযোগ্য।

বগুড়া মাল্টি অয়েল মিল, হাসান জুট মিলস লিমিটেড, তামিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, হাসান জুট অ্যান্ড স্পিনিং মিলস, বগুড়া জুট মিলস, মিল্টন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এবং রনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য রফতানি করেছে।

বর্তমানে রফতানিকারকরা বগুড়া চেম্বার থেকে সার্টিফিকেট অব অরিজিন নিয়ে পণ্য রফতানি করছে। অনেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার থেকেও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে থাকেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়া থেকে যেসব পণ্য রফতানি হয়েছে তার মধ্যে পাটজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ১ হাজার ৫৭৮ ডলার। রাইস ব্র্যান অয়েল থেকে এসেছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৮০০ ডলার। এছাড়া পানির পাম্প রফতানি থেকে এসেছে ৪২ হাজার ৮১১ ডলার।

এর আগে ২০২৪ সালে পাটজাত পণ্য রফতানি বাবদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ ডলার। রাইস ব্র্যান অয়েল থেকে এসেছে ২ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮১ ডলার। আর পানির পাম্প রফতানি থেকে এসেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮২ ডলার।

২০২৩ সালে বগুড়া থেকে পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার ৮৩ ডলারের। রাইস ব্র্যান অয়েল থেকে এসেছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার ৮৭৫ ডলার। এছাড়া পানির পাম্প রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি পানির পাম্প ও রাইস ব্র্যান অয়েলের রফতানি কমে গেছে। এর কারণ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় শহরগুলোয় পানির পাম্প তৈরির ওয়ার্কশপ গড়ে উঠেছে। তাছাড়া চায়না থেকেও আমদানি হচ্ছে। ফলে বগুড়ায় উৎপাদিত পাম্পের রফতানি কমে গেছে।

এ প্রসঙ্গে মিল্টন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের স্বত্বাধিকারী আজিজুর রহমান মিল্টন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বগুড়ায় উৎপাদিত বেশকিছু কৃষি যন্ত্রাংশ নিয়মিতভাবে ভারতে রফতানি হতো। কিন্তু সেখানে চাহিদা কমে যাওয়ায় রফতানিও কমে গেছে।’

অন্যদিকে বর্তমানে রাইস ব্র্যান অয়েল রফতানিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন করে কোনো চুক্তি করা যাচ্ছে না। আগে যেসব চুক্তি ছিল, সেই চাহিদা অনুযায়ী রফতানি হচ্ছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে ২০২৩ সালে বগুড়া থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ ডলারের আলু শ্রীলংকায় রফতানি হয়েছিল। গত বছর তা বন্ধ থাকলেও ২০২৫ সালে পুনরায় রফতানি শুরু হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৫০ ডলারের আলু রফতানি হয়েছে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইরুল ইসলাম  বলেন, ‘বর্তমানে রফতানি কিছুটা স্থবির হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখানে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বগুড়া চেম্বারের সহযোগিতায় বিদেশের বাজারে যাচ্ছে। এজন্য যেসব অনুমোদনের প্রয়োজন হয় তা চেম্বার থেকে দেয়া হচ্ছে।’

বগুড়া থেকে বিদেশে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রফতানি বাড়াতে আমরা কাজ করছি। পণ্যের মান যত ভালো হবে বিদেশের বাজারে তত চাহিদা বাড়বে। তাই বগুড়া চেম্বারের পক্ষ থেকে স্থানীয় উৎপাদকদের এ বিষয়ে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।’

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: