South east bank ad

২ দিনে বেনাপোল দিয়ে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি

 প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

২ দিনে বেনাপোল দিয়ে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। এই ২ দিনে দেশটিতে ইলিশ গেছে ৯৯ মেট্রিক টন।

বেনাপোল বন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৪৫ মেট্রিক টন ২০০ কেজির মতো গেটপাস হয়েছে। এ নিয়ে ২ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হলো ৯৯ মেট্রিক টন ৬৬০ কেজি ইলিশ। প্রতি কেজি ইলিশ রফতানি হচ্ছে ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি এক হাজার ১৮০ টাকা দরে।

জানা গেছে, পূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে ভারতীয়রা খুশি হলেও রফতানিতে দেশে ইলিশের সঙ্কট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বর্তমানে দেশীয় বাজারে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। বেনাপোল বাজারের মাছের আড়তে পাইকারিতে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৬৫০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সে হিসাবে একই আকারের ইলিশ প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা কমে ভারতে রফতানি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার রফতানি মূল্য নির্ধারণ করেছে কয়েক বছর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই রফতানি হচ্ছে। তবে ইলিশের দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে দাম সমন্বয় হতে পারে বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান।

নাভারণ বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারে যেখানে প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়, সেখানে ভারতে ১০ ডলার বা এক হাজার ১৮০ টাকা কেজিতে কিভাবে রফতানি হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।

এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম আকারের ইলিশ গতকাল দেড় হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোলে ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতে দুর্গাপূজা মানে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখা, প্রিয়জনদের সঙ্গে আড্ডা আর জমজমাট খাওয়া-দাওয়া। ইলিশ ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া যেন পরিপূর্ণ হয় না। আর দুর্গাপূজার আগেই ভোজনরসিক বাঙালির কাছে সর্বোৎকৃষ্ট মহরত। রেস্তোরাঁ হোক বা বাড়িতে অষ্টমী বা নবমীর দুপুরে শরষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা বা ইলিশ পাতুরি, ইলিশ বিরিয়ানি দিয়ে লাঞ্চ না করলে পূজার আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যায়। স্বাদে-গন্ধে পদ্মার ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। এবার বাংলাদেশের ইলিশ আসার কারণে পূজায় ইলিশ রসনায় তৃপ্ত হবে বঙ্গ সমাজ এ কথা বলাই বাহুল্য।

মৎস্য অধিদফতরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা দিতে পারবেন। তবে আমি যেটা জানি সেটা হলো, ইলিশ রফতানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ১০ ডলারে প্রতি কেজির রফতানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই রপ্তানি হচ্ছে।

তবে ইলিশের দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে দাম সমন্বয় হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।

BBS cable ad