তিন কোম্পানির সঙ্গে চামড়া বিক্রির চুক্তি করবে এপেক্স ট্যানারি
তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড।
তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। কোম্পানিগুলো হলো এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড, ফুটবেড ফুটওয়্যার লিমিটেড ও নুভো শুজ (বিডি) লিমিটেড। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, চুক্তির আওতায় এপেক্স ট্যানারি কোম্পানিগুলোর কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করবে। এপেক্স ট্যানারি ব্যবসার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন মান ও গ্রেডের চামড়া বাজারমূল্যে কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ করবে। প্রাক্কলন অনুসারে, বছরে এফবি ফুটওয়্যারের ১০ কোটি টাকা, ফুটবেড ফুটওয়্যারের ৫ কোটি ও নুভো শুজের কাছে ১ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি। তবে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বিক্রির পরিমাণ আরো বেশি বা কম হতে পারে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে এপেক্স ট্যানারির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ৩১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৪৩ পয়সায়।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল এপেক্স ট্যানারি। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সা।
২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এপেক্স ট্যানারি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪ পয়সা। ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৩ টাকা ১৭ পয়সা।
২০২০-২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এপেক্স ট্যানারি। আলোচ্য হিসাব বছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ১৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৩ টাকা ৮৯ পয়সা।
২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগের হিসাব বছরে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়। এছাড়া ২০১৭-১৮ ও ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৪০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ২০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।