হিলিতে কমছে পেঁয়াজের পাইকারি দর
দেশে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও ভারতের বাজারে নতুন সরবরাহের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে।
দেশে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও ভারতের বাজারে নতুন সরবরাহের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পণ্যটির পাইকারি দর। একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩-৫ টাকা কমেছে। গতকাল হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও বেলোরি জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। একদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা কমে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় নেমেছে। এর আগে বেলোরি জাতের পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭৮ টাকা। বর্তমানে তা কমে কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারিতে দাম কমায় হিলির খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১৫-২০ টাকা। এছাড়া এ অঞ্চলে কিছুটা নিম্ন মানের পেঁয়াজ খুচরায় দাম কমে কেজিপ্রতি ৬৫-৭০ টাকায় নেমে এসেছে, আগে যা ছিল ৮৫-৯০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে সে দেশের মোকামগুলোয় পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমদানির পরিমাণও বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে।’
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। বন্দর দিয়ে এর আগে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩০-৩৫ ট্রাক হয়েছে।’